parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রতীক বরাদ্দ: একদিকে আনন্দ-উল্লাস অপর দিকে বহিস্কারাদেশ

পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে মিছিল সমাবেশে একাকার পাহাড়। আর বহিস্কারের থবরে বিদ্রোহীরা বিষাদে আর সুসংবাদ শুনে ফুরফুরে মেজাজে নৌকার মাঝিরা।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিস কৃর্তৃক প্রতীক বরাদ্দের পর এমন পরিস্তিতির সৃষ্টি হয় নাইক্ষ্যংছড়িতে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু জাফর ছালেহ বলেন,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ২টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হচ্ছে। এর ১টি হলো বাইশারী আপরটি দৌছড়ি ইউনিয়ন। এ নির্বাচনের মঙ্গলবার ছিলো মনোনয়নপত্র প্রত্যহারের দিন। বুধবার প্রতীক বরাদ্দের।

তিনি আরো জানান,অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে বাইশারীতে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে মো: আলম কোম্পানী বরাদ্দ পেয়েছেন নৌকা, তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গির আলম বাহাদুর। তিনি প্রতীক পেয়েছেন আনারস মার্কা। তৃতীয় জন হলেন সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হাকিম। পক্ষান্তরে দৌছড়ি ইউনিয়নে ২ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী । দু’জনই হাইওয়েট প্রার্থী। একজন নৌকা প্রতীকের মোহাম্মদ ইমরান। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকও।

আর বিদ্রোহী প্রার্থী আলহাজ্ব হাবিবুল্লাহ বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতিও তিনি। তিনি প্রতীক নিয়েছেন মোটরসাইকেল। এদিকে বুধবার দুপুরে নিজ নিজ পছন্দের প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে ৭৪ জন চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদপ্রার্থী মহাখুশিতে মাঠে ফিরে গেছেন। সারাদিন তারা মিছিলে- সমাবেশে মাতোয়ারা হয়ে পড়েছে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায়। সমর্থকরা ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন বিজয়ের আগাম বার্তা দিয়ে।

অপরদিকে বুধবার সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অধ্যাপক মো: শফিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, নাইক্ষ্যংছড়িতে ২ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থী। একজন জাহাঙ্গির আলম বাহাদুর অপরজন হাবিবুল্লাহ। তারা দু’জনই আওয়ামী লীগ নেতা। এ নির্বাচনে তারা দলের নির্দেশ মানেনি। এ কারণে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সভার সিদ্ধান্ত মতে দলের সংবিধানের ৪৭ এর ১১ ধারা অনুয়ায়ী সকল পদপদবী সহ সাধারণ পদ হতে স্থায়ী বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেন তারা । এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগ উপজেলা কার্যালয়ে সকল নেতাদের উপস্থিতিতে সে সিদ্ধান্ত (বহিস্কারের) মাঠ পর্যায়ে জানিয়ে দেন তিনি ।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে চেয়ারম্যান পদের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে তেমন প্রভাব না পড়লেও তাদের আনন্দ কিছুটা বিষাদে পরিনত হয়।

এ বিষয়ে বহিস্কৃত জাহাঙ্গির আলম বাহাদুর বলেন, তিনি এখনও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এছাড়া করারও কিছুই নেই। তিনি জনগনের কল্যানে কাজ করেছেন ৩৩ বছর। মূল্যায়ন হয়নি। তার গড়া তার কর্মিকে নৌকা দেয়া হলো, অথচ তাকে নয়। অপর প্রার্থী হাবিবুল্লাহ বলেন, তিনি প্রার্থী হতে চাননি। এলাকার হাজার হাজার সমর্থক তাকে প্রার্থী হতে বাধ্য করেছেন। তাই তিনি প্রার্থী। দল বহিস্কার করলেও এ নির্বাচনে তেমন প্রভাব পড়বে না। তিনি কিছুটা হতাশ।

সর্বশেষ খবর জানা গেছে নৌকা প্রতীক পেয়ে এবং বিদ্রোহীদের বহিস্কারাদেশের খবর পেয়ে তাদের নেতা-কর্মিদের মাঝে সাহস বেড়েছে। তারা নৌকার ২ মাঝিই ফুরফুরে মেজাজে আছেন।

Exit mobile version