নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রথম করোনা ভাইরাসের টিকা নিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু জাফর মো. ছলিমের টিকা গ্রহণের মধ্য দিয়ে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইউএনও বলেন, আমরা আজকে একটি মহৎ কাজ করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ দেখা দেয় ৮ মার্চ। তখন আমরা রোগী শনাক্ত করতে সক্ষম হই। তখন থেকেই আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করি। সব কিছু মিলিয়ে আমরা সফল হই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা এগোতে থাকি। অনেক সমালোচনা হয়েছে, সমস্ত সমালোচনার উর্ধ্বে উঠে আমরা কাজ করতে থাকি।
তিনি আরও বলেন- আজকে সারাদেশব্যাপী ভ্যাকসিন কার্যক্রম উদ্বোধনের পাশাপাশি আমরাও উদ্বোধন করে টিকাদান করতে পেরেছি। উপজেলার সকল ইউনিয়নের সাথে আমরা ধাপে ধাপে করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমে যুক্ত হবো।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এজেডএম ছলিম বলেন, আমাদের কাছে ৮৬০ জনের ভ্যাকসিন পৌঁছেছে। সে ভ্যাকসিনগুলো ৮৬০জনকে আমরা দুই ডোজ করে দিতে পারব। অর্থাৎ প্রথম ডোজের চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। সারা বছরব্যাপী আমাদের এই করোনা ভাইরাসের টিকা কর্মসূচি চলবে। এটা একদিনের বিষয় নয়, এক মাসের বিষয় নয়। সারা বছর ধরে এই ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন- ভ্যাকসিন অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধিত হচ্ছে। যদি অ্যাপসের মাধ্যমে কেউ নিবন্ধন না করতে পারেন তাহলে আমাদের আরো নির্দেশনা আছে, তারা ইউনিয়ন বা উপজেলায় গিয়ে তথ্য সেন্টারের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন এবং ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। এটাও যদি না পারে তাহলে তারা ধাপে ধাপে ভ্যাকসিন নিতে পারবে। ফর্ম ফিলাপ করলেই তারা ভ্যাকসিন পাবে। ভ্যাকসিন না নিয়ে কেউই যাবে না। আমাদের সরকারের এটিই লক্ষ্য।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাাহ, ওসি মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী প্রমুখ।
উদ্বোধনের প্রথম দিনে শিক্ষক, চিকিৎসক, পুলিশ-বিজিবি, নার্স ও জনপ্রতিনিধি ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
