স্ত্রীর দাবি: চোরাকারবারিরাই তার স্বামীকে হত্যা করে

নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির সোর্সকে হত্যা ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবির সোর্স জহুর আলম হত্যা ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার ( ১৫ মে) সকালে এ মামলা দায়ের করা হয় ঘটনার ২ দিন পর। যার বাদী নিহতের স্ত্রী মমতাজ বেগম।

এ মামলায় পুলিশ সকালেই ৪ আসামিকে খুনের সাথে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করেছে । তারা হলেন- রোহিঙ্গা আমান উল্লাহ (৩৫), পিতা-রোহিঙ্গা কালু, জাহাঙ্গীর আলম (৩২) পিতা: হারুনুর রশিদ, মোহাম্মদ ইসমাঈল (২৮), পিতা: ছৈয়দ আলম। তারা ঘুমধুম ১নম্বর ওয়ার্ড়ের খিজারীঘোনা গ্রামের বাসিন্দা। জমির উদ্দিন (২৮) পিতা: নুরুল ইসলাম সে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের জলপাইতলী গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে জমির উদ্দিন ও মো. ইসমাঈল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। বিষয়টি পুলিশ এ পার্বত্যনিউজকে নিশ্চিত করেন।

নিহতের স্ত্রী মমতাজ বেগম এ পার্বত্যনিউজকে বলেন, তার স্বামী মূলত বিজিবি’র সোর্স। পাশাপাশি টমটমও চালাতেন তিনি। মামলার আসামিরা সীমান্ত চোরাকারবারি। তিনি আরো জানান, আটক আসামিদের মধ্যে জমির ও ইসমাঈল গভীর রাতে ফোন করে তার স্বামীকে ঘুম থেকে তুলে ডেকে নিয়ে যায় সীমান্তের ৩৩ নম্বর পিলার এলাকায়। সেখানেই তাকে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে লাঠি ও রড দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করে। বিজিবির সহায়তায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি থাকার অফিসার ইনচার্জ টানটু সাহা এ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে পুলিশ ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পলাতক আসামিদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেপ্তার, নাইক্ষ্যংছড়ি, বিজিবি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন