parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে ভূয়া কাগজে জমি জবরদখল ও রেজিস্ট্রেশনের অভিযোগ

Jaliati

নুরুল আলম সাঈদ, নাইক্ষ্যংছড়ি:

বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের এম.এল.এস.এস. হাতেম আলীর স্ত্রী রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে ভূয়া কাগজ পত্র সৃজন করে অন্যের জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে প্রকাশ, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের এম.এল.এস.এস. হাতেম আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার পাকুলা ইউনিয়নের শেখাহোট এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে ২৩১ হোল্ডিং এর মালিক মৃত আব্দুস সাত্তার, পিতা-মৃত হামিদ আলী নাইক্ষ্যংছড়ির পরিচয় দিয়ে এবং প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে আব্দুস সাত্তারের মেয়ে সেজে ১০৯ নং হোল্ডিং এ তার নাম অর্ন্তভুক্তি করে । যা সম্পূর্ণ জালিয়াতি এবং প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড।

স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের প্রত্যায়ন পত্রে দেখা যায়, জৈনক রহিমা বেগম নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা নই। পার্বত্য চট্রগ্রাম ম্যানুয়াল অনুযায়ী রহিমা বেগম কোনভাবে পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারে না । এছাড়া কোন প্রকার জায়গা – জমি খরিদ করতে পারে না । উল্লেখিত হোল্ডিং ও খতিয়ানে গোপনে ও কৌশলে রহিমা বেগম তার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন । যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও আইনত দণ্ডনীয় ।

সূত্রে জানা যায়, ১০৯ নং হোল্ডিং এ রহিমা বেগমের নামে হোল্ডিং ১০৯ নং মিউটিশন মোকাদ্দমা ২০০৭ যে সকল তথ্য ও কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট । প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রহিমা বেগম তার স্বামী হাতেম আলীর কু-পরামর্শে এহেন অপর্কম করেছেন বলে রহিমা বেগমের সাথে কথোপকতনে জানা যায় ।

অভিযুক্ত রহিমা বেগম সম্প্রতি ভূয়া তথ্য সম্বলিত কাগজ দিয়ে স্থানীয় এক কলেজ অধ্যাপককে একটি জমি রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টাকালে ওই অধ্যাপক ভূয়া ওই কাগজ পত্র নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে রহিমা বেগমের এই হীন কাজে সাড়া না দিয়ে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন ।

অভিযোগকারী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পূর্ব বিছামারার গুরা মিয়ার পুত্র নুরুল হাকিম (৩৫) অভিযোগে বলেন, উল্লেখিত অভিযোগ ছাড়াও রহিমা বেগম মিউটিশন মোকাদ্দমা নং-৯৩/২০১১ এই হীন কর্ম চরিতার্থ করার জন্য সহায়তা করছেন মৃত আব্দুস সাত্তারের পুত্র জাফর আলম এবং রশিদ আহমদ । রহিমা বেগম ও তার স্বামী হাতেম আলীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি জবর দখল ও ভূয়া কাগজ পত্র দেখিয়ে অন্যের জমি হাতিয়ে নেওয়া মর্মে গত ২৫ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দাখিল করেন ।

উল্লেখিত অপকর্ম গুলি বন্ধ ও রহিমা বেগম এবং তার স্বামী হাতেম আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগকারী নুরুল হাকিম, এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী মহল প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

Exit mobile version