parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে মহিলা লীগের নেত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তায় ‍খুঁটি স্থাপনের অভিযোগ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তায় চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরীর অভিযোগ উঠেছে। রাস্তার মধ্যখানে ইট ও কংক্রিট দিয়ে ঢালাই করে খুঁটি স্থাপন করায় বিপাকে পড়েছে ওই এলাকার শত শত নাগরিক। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের মসজিদ ঘোনা-স্কুলপাড়া এলাকায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের রেস্ট হাউজ এর পূর্ব পাশে আলী আকবর মেম্বারের বাড়ীর সামনের রাস্তা হয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করে। রাস্তাটি কিছুদূর যাওয়ার পর মধ্যস্থানে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে একটি সড়ক উপবন লেকে এবং অন্যটি ওজিফা খাতুন রুবির বাড়ির সামনে দিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি হাই স্কুলের পেছন হয়ে প্রধান সড়কে সংযুক্ত হয়েছে।

সম্প্রতি মহিলালীগ নেত্রী ওজিফা খাতুন রুবি তার বাড়ির সামনে ১৬ ফুট প্রস্থ রাস্তার মধ্যখানে সিমেন্টের খুঁটি স্থাপন করেছে। এতে ওই রাস্তা দিয়ে কোন ধরনের যানবাজন চলাচল করতে পারছে না। রাতের আঁধারে সাধারণ মানুষ চলাচলে দুর্ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা ও উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ওজিফা খাতুন রুবি সরকারি রাস্তার মাঝখানে ইট, কংক্রিট ও লোহা দিয়ে ঢালাই করে খুঁটি (পিলার) স্থাপন করেছে বেশ কিছুদিন আগে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোখতার আহমদ জানান, পেনশনের টাকা দিয়ে একটি বাড়ি করতে যাচ্ছি, এজন্য গাড়ি করে কিছু ইট, রড, বালি ও সিমেন্ট  আনতে যাওয়ার সময় দেখি রাস্তার মাঝখানে খুঁটি দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাকিম জানান, মনে হয় এই সরকারি রাস্তাটি কারো পৈত্রিক সম্পত্তি। না হলে এমন গুরুত্বপূর্ন সড়কে কিভাবে খুটিঁ স্থাপন হয়?

স্থানীয় বাসিন্দা মো. হোসন, ঠিকাদার আবু ছিদ্দিক, নুরুল আলম, সানজিদা আক্তার রুনা, মৌলভী ওসমানসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রধান সড়ক থেকে ইউনুছ মাস্টারের বাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তাটি যানচলাচলের জন্য উপযোগী নয়, রাস্তাটি নিয়ে বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন। অন্যদিকে স্কুলপাড়া-মসজিদঘোনা সড়কটি প্রায় ৬০ বছরের অধিক পুরনো সরকারি রাস্তা। বর্তমানে সেই রাস্তা দিয়েও কোন পরিবহণ ঢুকতে পারে না।

জানা গেছে, ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের রেস্ট হাউজ বাংলোর দক্ষিণ পার্শ্ব দিয়ে আলী আকবর মেম্বারের বাড়ি থেকে রুবি আলমের বাড়ি পর্যন্ত ও মেকানিক হারুনের বাড়ি থেকে উপবন লেকের নিচ পর্যন্ত ১৬ ফুট প্রস্থ রাস্তা ও দুই পার্শ্বে ড্রেন নির্মাণের বরাদ্দ প্রদান করা হয়।

এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মহিলালীগ নেত্রী ওজিফা খাতুন রুবি বলেন- ভারী মালামাল বোঝাই গাড়ির কারণে রাস্তাটি নষ্ট হচ্ছিল; তাই এলাকার মানুষ তথা নারী-পুরুষদের স্বার্থে ওই স্থানে খুটি দেওয়া হয়েছে। কারণ রাস্তাটি কারো একক সম্পত্তি নয়। ইতোপূর্বে নিজ অর্থে রাস্তাটি তিনি সংষ্কার করেছেন বলে দাবি করেন।

এই প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি বলেন- বিষয়টি নিয়ে কেউ আমাকে অভিযোগ করেনি। তবে চলাচলের রাস্তার মাঝখানে কেন খুটি স্থাপন করা হলো বিষয়টি অবশ্যয় গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।

Exit mobile version