parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগ

ছাত্রীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহুর্তে ছবি ভাইরাল হওয়া মাদ্রাসা প্রিন্সিপাল ছৈয়দ হোছেনের বিরুদ্ধে এবার অবৈধভাবে পাহাড় কেটে, গাছ কেটে বসতী গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইন্সটিউট আলীম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ছৈয়দ হোছেন অসহায়ত্বের সুযোগে মাদ্রাসার আলীম ১ম বর্ষের এক ছাত্রীর সাথে গোপন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সেসময় তাদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কিন্তু তৎসময় প্রিন্সিপাল ছৈয়দ হোছেন ছবিটি কম্পিউটারের ফটোশপে বানানো ও ছাত্রীটি তার বোনের মত দাবি করলেও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত ও গণমাধ্যমে লেখালেখি শুরু হলে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি।

পরে সেই দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ছামালীপাড়া এলাকায় পাহাড় কেটে বসতী তৈরি করেন।

সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান- বসতী তৈরীর জন্য পাহাড়ের প্রায় ৫ফুট জায়গা কেটে নিচে নামানো হয়েছে। এখনো সুবিধাজনক সময়ে পাহাড় কাটছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রিন্সিপাল ছৈয়দ হোছেন এর মোবাইল ফোনে  সোমবার সন্ধ্যায় একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী জানান- ছালামীপাড়া এলাকায় পাহাড় কেটে দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য প্রিন্সিপাল ছৈয়দ হোছেন বসতী তৈরি করেছেন বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।

৩নং ওয়ার্ড মেম্বার আলী আহমদ জানান- নব বিবাহিতা স্ত্রীর জন্য ঘর তৈরি করতে কিছু জায়গা সংষ্কার করেছেন ছৈয়দ হোছেন।

এই প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি বলেন- প্রিন্সিপাল ছৈয়দ হোছেন বসতঘর তৈরীর জন্য পাহাড় কেটেছে বলে স্থানীয়রা বলেছেন। অভিযোগের বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version