parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে মা: আবদুল কুদ্দুসের জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল

Janaja pic copy
মো. আবুল বাশার নয়ন, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান মরহুম ছালেহ আহাম্মদের শশুড় ও বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ নুরুল বাশারের পিতা উপজেলার প্রবীণ আলেম ও বিশিষ্ট সমাজসেবী হযরত মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের নামাজের জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল নেমেছিল।

শুক্রবার দুপুর ২টায় নাইক্ষ্যংছড়ি ঈদগাও ময়দানে তাঁর জানাজা সম্পন্ন হয়।জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

বিভিন্ন এলাকার সরকারি চাকরিজীবী, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ জানাজায় শরিক হন।জানাজায় ঈমামতি করেন মরহুমের বড় ছেলে বিশিষ্ট মাওলানা খায়রুল বাশার।

জানাজা নামাজের পূর্বে মরহুমের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন- চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রুহুল আমিন, বান্দরবান জেলা জামায়াত আমীর এএসএম আজাদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: ইকবাল, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তসলিম ইকবাল চৌধুরী, আল মারকাজুল ইসলামী দারুচ্ছুন্না মাদরাসা ও এতিমখানার পরিচালক মাওলানা কলিম উল্লাহ, গর্জনিয়া ফয়জুল উলুম ফাজিল মাদরাসা সুপার মাওলানা মো: আইয়ুব, মরহুমের বড় ছেলে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ খায়রুল বাশার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার ১১.৩০ টায় কক্সবাজারের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১১৩ বৎসর। তিনি ৬ছেলে ও ১২ কন্যাসহ অসংখ্য নাতী-নাতনী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

মরহুমের ইন্তেকালে বিভিন্ন মহল থেকে শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিদাতারা জানিয়েছেন, মরহুমের ইন্তেকালে উপজেলাবাসী একজন শান্তিপ্রিয় আলেমে ও আল্লাহওয়ালাকে হারালো। তার শূন্যতা অপূরণীয়। বিবৃতি দাতারা তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনাসহ, তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

Exit mobile version