নাইক্ষ্যংছড়িতে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার হাট বাজারগুলোতে শষ মুহুর্তে জমে উঠেছে কোরবানিরপশুর হাট।

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। পশু কোরবানি মাধ্যমে আত্বত্যাগ ও আল্লহ কে সন্তুষ্টি করাই প্রধান কাজ ।

করোনার কারনে প্রথমে লোকজন বাজারে যাওয়া এবং পশু হাটে নেওয়া কম দেখা গেলেও শেষ মুহুর্তে এই প্রত্যন্ত জনপদের বাজার গুলুতে প্রচুর পরিমাণ গরু, মহিশ, ছাগল, ভেড়া ছাগল বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়।

সরেজমিনেে এই প্রতিবেদক উপজেলার বাইশারী, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, চাকঢালা, ঘমধুম, বড়ইতলী, সোনাইছড়ি, দৌছড়ি সহ পার্শ্ববর্তী গর্জনিয়া, থীমছড়ি বাজার ঘুরে দেখা যায় পর্যাপ্ত পরিমাণ গরু বাজারে মওজুদ রয়েছে।

সবগুলো পাহাড়ের গাছ পালা ঘাস খেয়ে বড় হওয়া গরু একেবারে ফরমালিন মুক্ত । কোন ধরনের ভিটামিন পর্যন্ত খাওয়া হয়নি বলে জানান গরুর মালিক স্থানীয় বাসিন্দা হাজী নুরুচ্ছফা।

তিনি বলেন নিজেই এই গরুর পরিচর্যা তিনি নিজেই করেছেন। শুধু দেশী ঘাস আর কুড়া বুশি এবং নিয়মিত গোসল করিয়ে দিতেন ।

স্থানীয় চাকডালা এলাকার বাসিন্দা শামশুল আলম জানান বাজারে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও বেচা বিক্রি অনেকটা আগের তুলনায় কম।

কারন হিসেবে জানতে চাইলে তিনি জানান করোনার কারন খেটে খাওয়া মানুষগুলো এখন অসহায় হয়ে পড়েছে।

বাইশারী বাজারের গরু ব্যবসায়ী আবদুস সালাম জানান, এবছর প্রচুর পরিমাণ গরু মানুষের কাছে রয়েছে। তবে দাম কম হওয়ায় বাজার থেকে অনেকেই ফেরত নিয়ে যাচ্ছে।

বেচা বিক্রি ও কম শুধু ক্রেতা বিক্রেতা দর কষাকষির মধ্যে সময় পার করছে।

সরেজমিনেে আরো দেখা যায় এবার কোরবানীর পশুর হাটে সবগুলো দেশীয় জাতের গরু। এদের মধ্যে রয়েছে ছোট-বড় ও মাঝারি সাইজের। সকল বিক্রেতা বলছেন আমার গরুকে কোন ধরনের ঔষধ খাওয়া হয়নি।

কোরবানির আর মাত্র ৪ দিন বাকি।  তবে বাজার বসতে পারে আরো ২ দিন।  প্রতিটি হাট বাজারে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা। তাই নির্ভয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতারা পশু বেচা কেনা চালিয়ে যাচ্ছে।

এবিষয়ে স্থানীয় বাইশারী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. লিয়াকত আলী জানান পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষণিক বাজারে রয়েছে এবং চেক পয়েন্ট‘সহ নজরদারিও রয়েছে। পাশাপাশি কোভিড ১৯ এর বিষয়ে সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস, কুরবানির হাট, বাইশারী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন