parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার হাট বাজারগুলোতে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট।

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। পশু কোরবানি মাধ্যমে আত্মত্যাগ ও আল্লহকে সন্তুষ্টি করাই প্রধান কাজ । এবার শেষ মুহুর্তে এই প্রত্যন্ত জনপদের বাজারগুলোতে প্রচুর পরিমাণ গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়।

সরেজমিনেে বাজার ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সীমান্ত ঘেষা ঘুমধুম টিভি টাওয়ার, বাইশারী বাজার, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, চাকঢালা, বড়ইতলী, সোনাইছড়ি, দৌছড়িসহ পার্শ্ববর্তী গর্জনিয়া, থীমছড়ি পর্যাপ্ত পরিমাণ গরু বাজারে মজুদ রয়েছে।

সবগুলো পাহাড়ের গাছগাছালা, ঘাস খেয়ে বড় হওয়া গরু একেবারে ফরমালিন মুক্ত। কোন ধরনের ভিটামিন পর্যন্ত খাওয়া হয়নি বলে জানান গরুর মালিক স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, নিজেই এই গরুর পরিচর্যা তিনি নিজেই করেছেন। শুধু দেশী ঘাস আর কুড়া ভুষি এবং নিয়মিত গোসল করিয়ে দিতেন ।

স্থানীয় চাকলা এলাকার বাসিন্দা শামশুল আলম জানান, বাজারে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও বেচাবিক্রি অনেকটা আগের তুলনায় কম। কারণ হিসেবে জানতে চাইলে তিনি জানান, কারণে খেটে খাওয়া মানুষগুলো এখন অসহায় হয়ে পড়েছে।

বাইশারী বাজারের গরু ব্যবসায়ী আবদুস সালাম জানান, এ বছর প্রচুর পরিমাণ গরু মানুষের কাছে রয়েছে। তবে উচিত দাম না পাওয়া, দাম কম হওয়ায় বাজার থেকে অনেকেই ফেরত নিয়ে যাচ্ছে।

বেচা বিক্রিও কম শুধু ক্রেতা বিক্রেতা দর কষাকষির মধ্যে সময় পার করছে।

সরেজমিনেে আরো দেখা যায়, এবার কোরবানীর পশুর হাটে সবগুলো দেশীয় জাতের গরু। এদের মধ্যে রয়েছে ছোট-বড় ও মাঝারি সাইজের। সকল বিক্রেতা বলছেন আমার গরুকে কোন ধরনের ঔষধ খাওয়া হয়নি।

ঘুমধুম সীমান্ত ঘেষা টিভি টাওয়ার বৃহত্তর গরু বাজারের ইজারাদার ছৈয়দুল বশর জানান, ক্রেতাদের সুবিধার স্বার্থে এখানে বিক্রেতাদের নানান সুবিধা দেওয়া হচ্ছে জাল নোট চিহ্নিত করণে র‍্যাব ১৫ এর একটি দল কাজ করে যাচ্ছে । গাড়ি পার্কিং এর সুব্যবস্হা, শতাধিক নিরাপত্তা কর্মী রয়েছে। বাজারটি চলবে একটানা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত।

এ বিষয়ে র‍্যাব ১৫ সিসিপি-২,হোয়াইকং ক্যাম্প কমান্ডার ডিএডি সিরাজুল ইসলাম জানান, র‍্যাব এর পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষণিক বাজারে রয়েছে এবং চেক পয়েন্টসহ নজরদারিও রয়েছে।

তিনি আরও জানান জাল নোট ধরা পড়লে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক টান্টু সাহা বলেন, প্রতিটি বাজারে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি যেকোন অপ্রিতকর ঘটনা যেন না ঘটে পুলিশ সদস্যরা প্রস্তত রয়েছে ৷

Exit mobile version