নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের করোনা পজেটিভ ব্যক্তি রোহিঙ্গা সাজার হেতু কী!
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের ইউনিয়নের বড়ুয়া সম্প্রদায়ের একজনের করোন টেস্টে ফলাফল পজেটিভ বলে খবর পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তি উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আর্ন্তজাতিক সংস্থ এমএসএফ পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার প্রকৃত ঠিকানা গোপন করে ভূয়াঁ রোহিঙ্গা সেজে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঠিকানা লিপিবদ্ধ করেন। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রশ্ন জাগে এর হেতু কী!
বুধবার (১৩ মে ) তার শরীরে অসুস্থতা অনুভব করতে পেরে সে রোহিঙ্গা সেজে কুতুপালং এর আর্ন্তজাতিক সংস্থা (এম,এস,এফ) পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে গিয়ে চিকিৎসক কোভিড-১৯ উপসর্গের কথা জানতে পেরে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দেয় কক্সবাজার মেডিকেল হাসপাতাল ল্যাবে।
সেই ল্যাব থেকে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) তার নমুনা টেস্টের ফলাফল পজেটিভ আসে। তার লিপিবদ্ধ করা ঠিকানা নিয়ে খুজঁতে শুরু করে স্বাস্থ্য কর্মীরা।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প রেজিস্ট্রাডে ওই নামে কেউ না থাকায় বিভ্রাটে পড়ে যায় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। কঠোরভাবে খোজঁ নিতে গিয়ে জানা যায় সেই প্রকৃত একজন বাংলাদেশী নাগরিক। তার স্থায়ী ঠিকানা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ধুমধুম ইউনিয়নের কুচুবোনিয়া গ্রামের ৬০ বছরের এক বড়ুয়া।
নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য প: প: কর্মকর্তা ডা, আবু জাফর মো. ছলিম বলেন, কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতাল থেকে প্রেরিত কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের স্যাম্পল টেস্টের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের স্থানীয় এ লোকটি নিজেকে প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা শরনার্থী দাবী করেছিলো।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) পরীক্ষায় করোনা ‘পজেটিভ’ রিপোর্ট আসার পর এ বড়ুয়া নামের কোন রোহিঙ্গা শরনার্থী এ ক্যাম্পে নেই। পরে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে জানা যায়, করোনা সনাক্ত হওয়া ওই বড়ুয়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের কুচুবোনিয়ার এক মেম্বারের স্বজন। ওই করোনা শনাক্ত ব্যক্তিকে আপাতত হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি জানান, রোহিঙ্গা সেজে করোনা শনাক্ত রোগীটি যেহেতু আমার উপজেলার ঘুমধুমের স্থায়ী বাসিন্দা। সেহেতু তার এলাকার সংস্পর্শ লোকজনের নমুনা সংগ্রহসহ ঘরবাড়ি লকডাউনের আওতায় এনে রোগীকে হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।