parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়ির শৈএনু মারমা জেলার প্রথম নারী হেডম্যান

Soy anu marma

মো.আবুল বাশার নয়ন, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
বান্দরবানে জেলার প্রথম নারী হেডম্যান (মৌজা প্রধান) হলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের দোছড়ি মৌজার শৈএনু মারমা। নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি গত ১৫ এপ্রিল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যোগদানপত্র জমা দিয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রমমে হেডম্যান প্রথা চালু হওয়ার সোয়া ১০০ বছরে মৌজা প্রধান হিসেবে এর আগে বান্দরবানের কোনো নারীকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২৭৪ নম্বর দোছড়ি মৌজার হেডম্যান ক্যঞোয়াই মারমা মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী মা এ চিং মারমা ও ছোট বোন শৈএনু মারমাসহ তিনজন হেডম্যানের পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। বোমাং রাজার দপ্তর আবেদনকারীদের মধ্যে শৈএনু মারমার পক্ষে সুপারিশ করে। জেলা প্রশাসক তাঁকে নিয়োগ দিয়েছেন।

নতুন হেডম্যান শৈএনু মারমা বলেন, ‘নারী-শিশুদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। ভালো কাজ করে সবার গ্রহণযোগ্য হতে চাই। এ জন্য সহযোগিতা কামনা করছি’।

এ প্রসঙ্গে বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরী বলেন, হেডম্যান পদের আবেদন যাচাই করে বয়সে কম হলেও শিক্ষাগত যোগ্যতা শৈএনু এগিয়ে। এ জন্য শিক্ষিত, যোগ্য নারী হিসেবে তাঁকে হেডম্যান নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বোমাং রাজা বলেন, ১৯০০ সালের পার্বত্য শাসনবিধি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে ৩৭৩টি মৌজায় বিভক্ত করে হেডম্যান ও কার্বারি (পাড়া প্রধান) পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। হেডম্যানরা মৌজার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা, ভূমি ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব আদায় ও সামাজিক বিচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা আনা দরকার। এ জন্য প্রচলিত রীতি-প্রথা অনুসরণ করে নারী হেডম্যান নিয়োগে অগ্রাধিকার বিবেচনায় নেওয়া হবে। আগামীতে কার্বারী নিযয়োগেও নারীদের উৎসাহিত করা হবে।

শৈএনু মার্মা ছাড়াও তিন পার্বত্য জেলার অন্য দু’জন হেডম্যান হলেন কাপ্তাইয়ের সানু সিং মারমা ও রাজস্থলীর উ ক্রা সিং মারমা।

উল্লেখ্য, শৈএনু মার্মার মেজ ভাই মংনু মার্মাও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের তারগু মৌজা হেডম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

Exit mobile version