parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়ির সোনাইছড়ি ইউপিতে জালিয়াতির অভিযোগে দফাদার নিয়োগ বাতিল

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

ভোটার আইডি ও স্কুল সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নব গঠিত ৫নং সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নিয়োগ বাতিল করেছে ইউনিয়ন পরিষদ কতৃপক্ষ। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার ১২ এপ্রিল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে হাজির হয়ে এ নিয়োগ বাতিল করা হয় বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান বাহান মার্মা।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সম্প্রতি সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার পদে নিয়োগ পেতে তিনজন প্রার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে জনৈক খোরশেদ আলম নামে এক প্রার্থী দফাদার পদটি বাগিয়ে নিতে নিজের ভোটার আইডি ও জালিয়াতি স্কুল সার্টিফিকেট প্রদান করায় এ পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

সূত্র মতে, খোরশেদ আলম ২০১৩ সনের ৩১ জানুয়ারী প্রকাশিত ভোটার তালিকার ০৩২৬নং ভোটার এলাকায় ০৩ নং ক্রমে ভোটার অন্তর্ভুক্ত আছেন। যেখানে তার জন্ম সন ১৯৮১ সনের ১২ এপ্রিল উল্লেখ আছে। এছাড়াও সে নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পেশা উল্লেখ করেছেন ভোটার তালিকায়। কিন্তু দফাদার পদে নিয়োগ পেতে সে নিজের জাতীয় পরিচয় পত্রের এসব পকৃত তথ্য বাদ দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ১৯৮৮ সনের ১ ফেব্রুয়ারী জম্ম এবং ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার সন ২৪ জুন ২০০৮ লিপিবদ্ধ করে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

অপরদিকে সে উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৮ সনে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য দেখালেও বিপরীতে উক্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রত্যয়নের মাধ্যমে জানিয়েছেন খোরশেদ আলম, পিতা- দুদু মিয়া নামে কোন পরীক্ষার্থী ১৯৯৮ সনে তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে অংশ নেয়নি। যা ভূয়া ও ভিত্তিহীন হিসেবে প্রত্যয়ন করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃদুল কান্তি পাল।

এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু শাফায়াত মুহাম্মদ শাহেদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি নিয়ে সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলার জন্য বলেন এবং এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ভোটার আইডি জালিয়াতির বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

অপরদিকে সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাহান মার্মা জানান, এক দফাদার প্রার্থী সার্টিফিকেট জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন। বিষয়টি তিনি জানতে পারার পর পরই নিয়োগ বাতিল করেছেন।

Exit mobile version