parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়ির সোনাইছড়িতে ডাকাত-সন্ত্রাসী তাড়াতে রাতে পাহারা বসিয়েছে উপজেলা প্রশাসন

নাইক্ষ্যংছড়ি  প্রতিনিধি:

উপজেলা সোনাইছড়ির বিভিন্ন স্থানে ডাকাতের হানা, মারধর, আনা-গোনা এবং এলাকায় সন্ত্রাসীদের ভয় তাড়াতে রাতে পাহারা বসিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

এ উপলক্ষ্যে ১৪ মার্চ দুপুরে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের রেজু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভা করে প্রশাসন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বার্হী অফিসার এসএম সরওয়ার কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এতে এলাকার কয়েক শতাধিক উপজাতি-বাঙ্গালী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর শেখ, ওসি(তদন্ত) যায়েদ নূর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব ইমরান মেম্বার ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার বাহাইন প্রমুখ।

সরওয়ার কামাল জানান, এলাকায় বার বার ডাকাত ও সন্ত্রাসীর আনা-গোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগ নেন পাহারা বসানোর। যেহেতু পুলিশী জনবল কম। তাই পুলিশের একার পক্ষে এতো বড় গুরুদায়িত্ব পালন কষ্ট হবে তাই সোনাইছড়ির ৩টি ওয়ার্ডে ৩টি কমিটি করে দেয়া হয়েছে। ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এসব কমিটি করা হয়েছে। এ ওয়ার্ড এলাকা বেশি দুর্গম।

তিনি আরও বলেন, কমিটির ১০জন করে পাবলিক সদস্য ছাড়াও পুলিশ, আনসার-ভিডিপির সদস্যরাও এ দলে থাকবেন। তাদের প্রত্যেকের হাতে থাকবে লাঠি, বাঁশি, টর্চলাইট ও মাইক। তারা সারা গ্রামে গ্রামে লোকজনকে পালা করে পাহারা দেবে।

এদিকে ডাকাতের হামলায় এলাকা ছাড়া স্থানীয় মেম্বার মংহ্লা মেম্বারের স্বজন ক্যছাহলা তংচঙ্গা এ প্রতিবেদককে জানান, গত ১০ মার্চে রাতে পাইয়ার ঝিরি গ্রামে হানা দিয়ে স্থানীয় মেম্বার কে জখম করে স্বশস্ত্র ডাকাত দল। সে এখনও চিকিৎধীন রয়েছে।

এ ঘটনার পর থেকে পাইয়ার ঝিরি গ্রামের ৪৮ পরিবার এখনও অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে রাতকাটায়। আর দিনের আলোতে পাহাড়ের সেই নিজ বাড়িতে ফিরে যায় তারা। এর আগে গত ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় অপর আরেকটি ডাকাতদল এই একই ইউনিয়নের জুমখোলা রাস্তার মাথায় গণডাকাতি চালায়। এ সময় ২জন ইউপি চেয়ারম্যানও  এ ডাকাতদের কবলে পড়েছিল।

Exit mobile version