parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা লকডাউন: উপজেলা প্রশাসনের ১০ নির্দেশনা

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে জনস্বার্থে পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা লকডাউন করা হয়েছে।
এছাড়া করোনার বিস্তার রোধে উপজেলা প্রশাসন ১০ নির্দেশনা দিয়েছেন গণস্বার্থে।

মঙ্গলবার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেন তিনি। আর বান্দরবান জেলা প্রশাসক মঙ্গলবার বিকেলে নির্দেশ দেন নাইক্ষ্যংছড়ি সহ কয়েকটি উপজেলা লকডাউনের জন্যে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাইক্ষ্যংছড়ি উজেলা নির্বাহী অফিসার।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সূত্র জানান, দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় নাইক্ষ্যংছড়িতেও করোনা ভাইরাস সংক্রামন বিস্তার রোধে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধ পরিকর। সে লক্ষ্যে এ নির্দেশনা দেন উপজেলা প্রশাসন।

এ নির্দেশনায় বলা হয়-নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সাথে পার্শ্ববর্তী সকল সড়ক যোগাযোগ নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, খাদ্যপণ্য সরবরাহকারী যানবাহন, হাসপাতাল, আ্ইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উক্ত বিজ্ঞপ্তির আওতা মূক্ত থাকবে। ঔষধের দোকান সহ সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান গুলো ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা যাবে।

সাপ্তাহিক হাট বন্ধ থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান খোলা রাখা যাবে সকাল ১০টা থেকে
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। কৃষি উৎপাদিত পণ্যও একই সময়ে বেচা-কেনা করা যাবে। সকল প্রকার সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ। খাবার হোটেল, আবাসিক হোটেল বন্ধ থাকবে। এভাবে আরো বেশ নির্দেশনা নিয়ে এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন প্রশাসন।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি পার্বত্যনিউজকে জানান, এ নির্দেশনা মানতে হবে না মানলে আইনী ব্যবস্থা। আর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাকে লকডাউন করতে বান্দরবান জেলা প্রশাসক পত্র পাঠিয়েছেন মঙ্গলবার বিকেলে। বিষয়টি করোনা বিষয়ক কমিটি দ্রুত বৈঠক করে মাইকিং করা হবে। তিনি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।

উল্লেখ্য লকডাউন হলো কোন বিশেষ মূহুর্তে জনর্স্বাথ রক্ষায় সরকার সিদ্ধান্ত নেন-লোকজন অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেন পা না রাখেন। নিজ এলাকার লোকজন অন্য এলাকায় প্রবেশ বা প্রস্থান নিয়ন্ত্রণ করাই লকডাউন। আর দু’এর অধিক লোক সমাগম হবে না। দূরত্ব বজায় রাখবে তারা। অবশ্য এটি সতর্কতার জন্যে।

Exit mobile version