parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন লেকে নতুন সংযোজন ৩ কায়াকিং বোট

ঈদ ও সাংগ্রাইং উপলক্ষ্যে পাহাড়ি কন্যা নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন লেকের গায়ে কায়াকিং মেকাপের প্রলেপ আকঁছেন উপজেলা প্রশাসন ।লেকটি সাজাঁনো হচ্ছে অপরূপ সাজে। লেকের প্রধান আকর্ষণ ঝুলন্ত ব্রিজটিতে আনা হচ্ছে আরো নতুনত্ব। আম-বাগান ও সেগুন বাগান দুটির ফঁকফঁকা ভাব ধারণ করছে। এখন শোভা পাচ্ছে সব। বলতে গেলে এ ঈদ পরবে অপরূপ সাজে সাজানো হচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের একমাত্র ঝুলন্ত ব্রিজের দেশ নাইক্ষ্যংছড়ির উপবন পর্যটন স্পট।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র আরো জানায়, পর্যটন লেকে এবারে সংযোজিত হয়েছে ৩টি কায়াকিং বোট। যেগুলো চট্টগ্রাম থেকে কেনা হয়েছে। অনিন্দ্য সুন্দর এ বোট। এর আগে আরো ৫টি বোট ছিলো। এখন মোট-৮টি বোট। অনেক দূরের প্রকৃতিকে দেখার জন্য করা ওয়াচ টাওয়ারটির পরিবেশকে আরো সুগম করা হয়েছে।

প্রশাসন আরো জানায়, ঝুলন্ত বিজের পাটতন গুলোতে সংস্কার আনা হচ্ছে। ডজনাধিক নিরাপত্তা প্রহরীকে আইডেন্ডিফাই জ্যাকেট, সিগনেল কাঠি ও মাইক্রোফোনে সংযোজিত করা হয়েছে । দোলনা, শিশু পার্ক, ডজনাধিক দ্বিতল/একতল রেস্ট প্লিস, কনফারেন্স প্লেসে রঙিন আভায় রূপ দেয়া হয়েছে। বলতে গেলে এবারের ঈদে যৌবনে পা রেখেছে সাগর কন্যার পূর্বদেশের পার্বত্যঞ্চলের নাইক্ষ্যংছড়িস্থ পর্যটন উপবন লেকটি। যা এবারের ঈদুল ফিতরের আগে পরে পর্যটকরা উপভোগ করতে পারবেন।

স্থানীয় সূত্র গুলো জানান, এ লেকে আসতে হয় ককসবাজার শহরতলী বা রামু উপজেলা সদরের রাবার বাগানের বুক চিরে। আঁকা-বাঁকা পথ বেয়ে সেখানে যেতে হয়। ককসবাজার সী বিচ থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার। আর কক্সবাজার- চট্টগ্রাম সড়কের রামু রাবার বাগান স্টেশন থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার সোজা পূর্বদিকের এ সড়ক দিয়ে আসতে যে কোন গাড়িতে যাতায়াত করা যায় । যে সড়কটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলকায় যাওয়ার অত্যন্ত নিরপদ ও কাছের সড়ক।

সূত্র মতে সড়কের ৭ কিলোমিটাের মাথায় রয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা, ১১ বিজিবি’র ব্যাটালিয়ন সদর, নাইক্ষ্যংছড়ি থানা, নাইক্ষ্যংছড়ি সরকারি ডিগ্রি কলেজ
নাইক্ষ্যংছড়ি টেকনিক্যাল সরকারি স্কুল ও কলেজ ও দেশের বৃহৎ গয়াল খামার। এছাড়া আরো কত কী !

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা বলেন, তিনি নবাগত। তবু শুরুতে ৩টি কায়াকিং বোট ও অন্যান্য পণ্যসামগ্রী সংযোজন করছেন। আরো বৈচিত্রতা আনতে তিনি বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আরো করবেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাহাড়ের সম্পদকে কাজে লাগানোর ও পর্যটন শিল্পের প্রসারের বৃহৎ লক্ষ্যকে বাস্তবে রূপ দিতে তিনি এখানে অগ্রাধিকার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়িকে জাতির কাছে তুলে ধরবেন তিনি।

Exit mobile version