parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট বার্মিজ গবাদি পশু পাচারের নিরাপদ রুট

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ৫২ নম্বর পিলার-হরিণখাইয়া-বাইশারী-ঈদগড় পয়েন্টটি এখন বার্মিজ গবাদি পশু পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে । সড়কটির দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। এতে প্রভাবশালী ৮ জন, জনপ্রতিনিধি ৭ জন, দালাল ১২ জন আর টানা শ্রমিক ১/২শত জন। এ চক্রটি সীমান্তের এ এলাকায় দায়িত্বরত ১১ বিজিবি টহল দলকে নানা কৌশলে ফাঁকি দিয়ে এ অপকর্ম করছে বীর দর্পে। চক্রটি বিজিবি কর্তৃপক্ষের সব কষ্ট মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছে নানাভাবে । অথচ বিজিবি কর্তৃপক্ষ ফুলতলী, জামছড়ি, আশারতলী, চাকঢালাও বামহাতিরছড়াসহ সীমান্তের সব পয়েন্টে নজরদারি বাড়িয়ে রাত-দিন টহল বসিয়েছে কয়েকমাস। যার কারণে চোরাকারবারিরা ওইসব পয়েন্ট বাদ দিয়ে বেছে নেয় ৫২ নম্বরের এ পিলার পয়েন্ট। যাতে সরকারের রাজস্ব ফাঁকির বাইরেও বিজিবির সুনাম ক্ষুণ্ন করছে অবৈধ চোরাচালান কর্মকাণ্ডে জড়িতরা।

স্থানীয় সূত্রগুলো আরো জানায়, কয়েক শতের এ চক্রটি সীমান্তেন ৫২ নম্বর পিলারের একদেড়’শ গজ পূর্বে বা ৫৪ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে মিয়ানমান থেকে বাংলাদেশে গবাদিপশু নিয়ে আসে। যা সীমান্ত সড়ক দিয়ে পশ্চিম দিকে ৪৯ কিলো নামক এলাকায় আনে। এরপর উত্তর দিকে এসে পাহাড়ি পথে ৫১ নম্বর পিলারের সামান্য পূর্বের পথ বেয়ে জনৈক রহিমের সেগুন বাগানের পাশের পথ ব্যবহার করে। পরে কাঠ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামের কাঠ পরিবহনের পরিত্যক্ত কাঁচা সড়ক দিয়ে তোলা হয় পাইনছড়ি-তারগু মৌজা সড়কে । এভাবে আধা কিলো সড়ক দিয়ে পূর্ব দিকে নিয়ে গিয়ে ওরুইম্মার ঝিরির আগা নামক এলাকা দিয়ে জনৈক ছৈয়দ আলমের সেগুন বাগানের বুক চিরে উত্তর পশ্চিম দিকে মুভ করে। এর পর ডলুর ঝিরি নামিয়ে পাইনছড়ি বিওপির ৭০০ গজ পূর্ব দিক দিয়ে হরিণখাইয়া স্টক করা হয়। পরে কুরিক্ষ্যং হয়ে বাইশারী, গর্জনিয়া ও ঈদগড় নিয়ে যায়। যা পাচার কার্য চলে সপ্তাহে ৪ দিন। প্রতি বহরে গড়ে ১৫০টি করে বার্মিজ গবাদিপশু নিয়ে যায় চোরাকারবারি চক্রটি।

১১ বিজিবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গোপন এ চোরাই পথের সন্ধান পেয়ে টহল জোরদার করা হয়েছে।

Exit mobile version