নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আতঙ্ক বিরাজ

fec-image

বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা চাকঢালা, জামছড়িসহ ২০ গ্রামবাসীর ঘুম হারাম করেছে মিয়ানমারের আর্টিলারি ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণ মঙ্গলবার রাত ও বুধবার সারাদিন দফায় দফায় মর্টার শেলের বিস্ফোরণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সীমান্ত জুড়ে। তবে আজ কোন গোলাগুলির শব্দ না পাওয়া গেলেও শূন্য রেখায় বসবাসরত রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কৃষক, শিক্ষক ও গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

সূত্র জানায়, নাইক্ষ‍্যংছড়ি মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, গর্জনবুনিয়া, ১০ ও ১১ কিলোমিটার, রেজু আমতলীসহ ৮ গ্রামের বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মর্টার শেলের আওয়াজ শুনেছেন অনেকে। যা বেশ কয়েকদিন ধরে চলছে।

সর্বশেষ বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ ধরনের মর্টার শেলের আওয়াজ শুনেছেন ঠিকাদার জহির উদ্দীন। এ বিষয়ে তিনি জানান, সকাল থেকে ঘুমধুম পয়েন্টে বেশ কিছু সময় গোলাগুলি ও মর্টার শেলের আওয়াজ তাকে ভাবিয়ে তুলেছে। কেননা মিয়ানমারের এমন কী শক্তি আছে? যাতে করে মিয়ানমার সরকার আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করছে। এভাবে ঘুমধুমের সর্বস্তরের মানুষের একই প্রশ্ন মিয়ানমার আসলেও কী চায়।

অপর দিকে নাইক্ষ্য্ংছড়ি উপজেলারর ঘুমধুমের তুমব্রু পয়েন্ট থেকে সদর ইউনিয়নের চাকঢালা পয়েন্ট পর্যন্ত মোট ১৭ কিলোমিটার সীমানা এলাকায় সেই থেকে এ পর্যন্ত শান্ত আছে। এর পর সীমান্তের উপজেলার চাকঢালা-জামছড়ি পয়েন্ট। এ পয়েন্টটি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের আওতায়। গত ৫ দিন ধরে এ পয়েন্টে প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজে সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ পয়েন্টের ৪৪ ও ৫৪ নম্বর পিলার এলাকার ১৬ গ্রামের কাছাকাছি ওপারে কিছুক্ষণ পরপর মিয়ানমার এবং আরকান আর্মির মধ্যে তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ চলছে। যার আওয়াজে তটস্থ ১৫ গ্রামের ৮ গাজার মানুষ।

সদর ইউনিয়নের জামছড়ির স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন। বলেন, ৮টা ৩০ মিনিটের সময় মিয়ানমার থেকে প্রচণ্ড গতিতে ভারী অস্ত্রের আওয়াজ শুনতে পান ৭ বার। তিনি সহ গ্রামের সব মানুষ আতঙ্ক বোধ করছেন

কথা হয় দক্ষিণ চাকঢালার সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের শিক্ষক আলাউদ্দীনের সঙ্গে। তিনি জানান, স্কুল চলাকালীন সময় থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত মোট ১০ বার সীমান্তের ওপার থেকে ভেসে আসা আওয়াজ তিনি শুনেছেন। তার বিদ‍্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝেও কিছুটা আতঙ্ক কাজ করেছে।

এ বিষয়ে নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল আবছার ইমন জানান, সীমান্তে গোলাগুলির কথা তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে শুনেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আতঙ্ক বিরাজ, নাইক্ষ্যংছড়ি, মিয়ানমার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন