parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে গুলির আঘাত থেকে রক্ষা পেলেন চেয়ারম্যানসহ চার সাংবাদিক

সীমান্তে ভারী অস্ত্রের গুলি থেকে রক্ষা পেলেন নাইক্ষংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় ৪ সাংবাদিক।

শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে সীমান্তের ৪৪ নম্বর পিলার এলাকার চেরারমাঠ গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় অধিবাসী ও আনসার-ভিডিপির ইউনিয়ন কমান্ডার আলী হোসেন এবং ইউপি মেম্বার মো. ইউছুপ।

সূত্র আরো জানান, শনিবার দুপুর থেকে একের পর এক গুলির বিকট শব্দ মিয়ানমারের ওপার থেকে বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ির চেরারমাঠ সীমান্তে ভেসে আসছিলো। এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান জনপ্রনিধি এবং সাংবাদিকেরা। হঠাৎ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের চেরারমাঠ ধান ক্ষেতে মিয়ানমাররের ছোঁড়া পর পর তিনটি গুলি এসে পড়ে। তখন ধান ক্ষেত থেকে দৌঁড়ে প্রাণে রক্ষা পান নাইক্ষ্যংছড়ির প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন খালেদ, সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম কাজল, সাংবাদিক দম্পতি অধ্যাপক আক্তার কামাল, সানজিদা আক্তার রুনা, ইউপি সদস্য আবদুর রহমান এবং মোহাম্মদ ইউছুপ সহ অনেকেই।

স্থানীয় গ্রাম পুলিশ আলী হোসেনসহ গ্রামবাসী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অল্পের জন্য তাঁরা প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। সীমান্তের অল্প কাছে গেলেই তাঁরা হয়তো জীবণ নিয়ে ফিরে আসতে পারতেন না।

নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সীমান্তের ৪৩ পিলার থেকে দোছড়ি ইউনিয়নের ৫০ পিলার পর্যন্ত এলাকাজুড়ে ব্যাপক গোলাগুলি চলছে। এ জন্য তাঁর ইউনিয়নের চেরারমাঠ, ফুলতলি, জামছড়িসহ কয়েকটি সীমান্তঘেঁষা পাড়ার লোকজনকে সরিয়ে থাকতে বলেছেন।

বেশ কয়েক দিন ধরে ওই এলাকার মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের সীমান্তচৌকিগুলো বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) দখলে ছিল। এখন ওই সীমান্তচৌকিগুলো পুন:দখলের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভিযান চালাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ জন্য দুই পক্ষের যুদ্ধ চলছে।

Exit mobile version