পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ ব্যাটালিয়ন জোন ( বিজিবি) আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ব্যাটালিয়নের দরবার হলরুমে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ ব্যাটেলিয়ানের জোন কমন্ডার লে: কর্নেল আসাদুজ্জামান খাঁন। তিনি বলেন, সামরিক পদক্ষেপের পাশাপাশি সরকার পাহাড়ি জনগণকে শান্ত করার লক্ষ্যে সেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করে। শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সারাবিশ্বে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হিসাবে এ চুক্তি তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই স্বাক্ষরিত হয়। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় গঠিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ।
ওই অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাটালিয়নের সহকারি পরিচালক (এ,ডি) জামাল হোসাইন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা মাঈনুদ্দীন খালেদ, সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরীসহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ, সা: সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম কাজল, সাংবাদিক আব্দু রশিদ, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জারুলিয়াছড়ি মৌজার হেডম্যান মং য়ে মার্মা, সদর ইউনিয়নের ধুংরী হেডম্যান পাড়া সমাজ নেতা মং ওয়াই মার্মা, মার্মা যুবনেতা উহ্লা ফো চাক্ প্রমূখ।
এর আগে, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় ব্যাটালিয়নের মাঠে স্থানীয় খেলোয়াড় বনাম বিজিবি সম্প্রীতির এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে।
