parbattanews

নাইক্ষ্যংড়িতেও মানব পাচারকারীরা সক্রিয়, ৭০ হাজার টাকায় উদ্ধার এক

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংড়িতেও মানব পাচারকারীরা বেশ সক্রিয় হয়েছে। কিছুদিন ধরে তারা সীমান্তের লোকজনকে ফুসলিয়ে টেকনাফ হয়ে মালয়েশিয়া নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়া পাচারকারীরা ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে ৬ দিন পর ছেড়ে দিয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ির ১ যুবককে।

ফিরে আসা যুবক মোস্তফা কামাল জানান, সে ৬ দিন পর মুক্ত হয়েছে বন্দিদশা থেকে । যুবক মোস্তাফা কামাল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাইনছড়ি গ্রামের মো. হোসেনের ছেলে।

তার বাবা পেশায় কৃষক ও শ্রমিক। গত ১৯ জুলাই তাকে টেকনাফ বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাইনছড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ইউনুছ তাকে নিয়ে যায়। তাকে অন্ধকার এক ঘরে আটকে রাখা হয়। এতে তাকে সহায়তা করে পাচারকারী দলের সদস্য ইউনুসের অপরাপর ভাইয়েরা।

তিনি আরো জানান, ইউনুছ তাকে (মোস্তফা কামাল) টেকনাফ নিয়ে গিয়ে অপহরণকারী চক্রের হাতে তুলে দেয়।

সেখানে নানাভাবে টাকা আদায় করতে মারধর করে। পরে তার মা তাহেরা বেগম ছেলের জীবন রক্ষায় নিজের বসত ভিটা বন্ধক দিয়ে ১ লাখ টাকা জোগাড় করেন । সে টাকা নিয়ে তাহেরা ও তার স্বামী সন্তান মোস্তফাকে উদ্ধারে নামে।

পরে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে মোস্তাফাকে মঙ্গলবার উদ্ধার করেন অপহরণকারীর হাত থেকে । ছাড়া পেয়ে বুধবার (২৫ জুলাই) বিকেলে সে নাইক্ষ্যংছড়িতে এসে সাংবাদিকদের তার অপরহণ ঘটনার বর্ণনা দেন। এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সে।

মোস্তাফা কামালের মা তাহেরা বেগম বলেন, অপরহণকারী চক্র পাইনছড়িতেই আছে। তারা ৪ ভাই। তাদের একজন হলো মোহাম্মদ ইউনুছ। তার পিতাসহ ভাইদের আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মানব পাচারকারী চক্রের মূল দালালদের বের করা সম্ভব হবে। এদেরকে আটক করে তার কাছ থেকে নেয়া ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার চান তিনি।

এ বিষয়ে স্থানীয় হেডম্যান মংনু মার্মা জানান, এ ঘটনা নিন্দনীয়। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা দরকার।

দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান জানান, ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে তার এলাকার যুবক মোস্তাফা কামালকে মুক্ত করে আনার খবর তিনি জেনেছেন। তবে এ ধরনের গর্হিত কাজে জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থাও চান তিনি।

Exit mobile version