parbattanews

নাইক্ষ‍্যংছড়ির উৎপাদিত লেবু যাচ্ছে সারাদেশে

প্রায় দুই যুগ ধরে পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলাই সর্বত্রই কম-বেশি লেবু চাষ হয়। বিশেষ করে উপজেলার দু’ছড়ি ইউনিয়নের বাকখালী, কুড়িক্ষ‍্যং, দৌছড়িসহ সব গ্রামেই বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। প্রায় কয়েক হাজার একর পাহাড়ি উচু নিচু জমিতে এ লেবু চাষ হয়। এই উৎপাদিত লেবু প্রায় দেশের সকল জেলাতে সরবরাহ করা হচ্ছে। যা দেশের মানুষের ভিটামিন সি এর একটা চাহিদা পূরণ করছে।

উপজেলার ঘুমধুম, সোনাইছড়ি, বাইশারীতে কমবেশি লেবু চাষ হয়ে আসছে। আর সদর ইউনিয়নের আষাড়তলী, চাকঢালা, আদর্শগ্রামেও লেবুর ব‍্যাপক চাষ হচ্ছে।

একাধিক লেবু চাষি জানান, সপ্তাহের হাটের দিন বাহির থেকে আসা ব্যবসায়ীদের কাছে তারা লেবু বিক্রি করেন। এ ব্যবসায়ীরা পাইকারী দরে এ লেবু কিনে নিয়ে যায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ঢাকার আড়ত গুলোতে।

এ প্রতিবেদক সরেজমিন গিয়ে জানতে পারেন, অন্যান্য দিনের মতো পাশ্ববর্তী রামুর গর্জনিয়া বাজার ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর বাজারে বৃহস্পতিবার সকালেও লেবু চাষিরা এ বাজার দু’টিতে পাইকারি লেবু বিক্রি করেন।

লেবুবাগান মালিক, মোহাম্মদ আলম, নজির হোসেন ও মো. ইউনুছ বলেন, হরেক রকম লেবুর বাজার এ বছর দাম কিন্তুু বেশ নিম্নমুখী। অনেকে লেবু বাগান কেটে সাবাড়ও করেছেন। তবু আগের ধারাবাহিকতায় অনেক ব‍্যবসায়ীরা সড়ক যোগাযোগ যেখানে ভালো সেখান থেকে সরাসরি বাগানে থেকে লেবু সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন শহরে নিয়ে য়ায়।

কথা হয় দুছড়ি ইউনিয়নের চিকনছড়ির পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষক মোহাম্মদ ফুরকানের সঙ্গে, তিনি বলেন এই লেবুর বাগান থেকে এক সময় অনেক অর্থ কড়ির সুফল পেয়েছি, কিন্তু বতর্মানে সব বাগানে অহরহ উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় কারণে, বতর্মানে বাজার দর নিম্নমুখী হওয়াতে অনেকেই উৎসাহ হারাচ্ছে লেবু চাষে।

আর্দশগ্রামের তরুণ লেবু চাষি সাবেক সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নবীর ছেলে, মো. মুন্নার সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, বছর জুড়ে ফলনশীল এই লেবুর বাগান দিন দিন উপজেলার পাহাড়জুড়ে বেড়েই চলছে। আমিও স্বপ্ন দেখি এই চাষের প্রতি, ভবিষ্যতে লাভবান হব বলে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. এনামুল হক জানান, মূলত নাইক্ষ্যংছড়ির মাটি খু্বই উর্বর। তবে এ বছর নানা কারণে লেবু দাম সামান্য কমলেও পরের বছর আবারো বাড়বে। কৃষকরা তখন লাভবান হবে।

Exit mobile version