গত ৪ দিন ধরে বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্ত স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। বড় কোন ধরনের মর্টার শেলের গোলার আওয়াজ ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি বলে জানিয়েছেন সীমান্তে বসবাসরত এলাকাবাসী।
সীমান্ত বাসিন্দা মাওলানা শামশুল আলম জানান, গত রবিবার থেকে বুধবার এই রিপোর্ট লিখা পযর্ন্ত ঘুমধুম থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ির ৪৪ ও ৪৫ সীমানা পিলার পর্যন্ত মিয়ানমারের ভিতর থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসেনি।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আপাতত আমার এলাকার সীমান্ত দিয়ে গোলা বর্ষণের খবর আমাকে কেউ জানাননি। সে কারণে মনে হচ্ছে পরিস্থিতি আগের চাইতে ভালো আছে। সীমান্ত এলাকার স্পর্শকাতর পয়েন্ট থেকে নিরাপদ জায়গায় ফিরিয়ে আনা প্রায় সবাই ফিরে গেছে নিজ নিজ অবস্থানে।
তুমব্রুর ৩৪ ও ৩৫ সীমান্ত পিলার দিয়ে তেমন বড় কোন বিকট শব্দের আওয়াজ মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে বাংলাদেশ সীমানায় আসেনি বলে জানিয়েছ তমব্রু বাজারের ব্যাবসায়ী মো সরোয়ার।
সীমান্তের বাসিন্দা ও নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ছাবেরের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তিনি জানান, তার এলাকায়ও তেমন কোন গোলাগুলির খবর নেই। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। লোকজনের মাঝে কিছুটা ভয় কেটে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। আবার কোন সময় মিয়ানমার বাহিনীর গোলাগুলি শুরু হয় সেকারণে স্থানীয়রা শঙ্কিত আছে জানান তিনি।
