নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের দুই পয়েন্টে গোলাগুলি চললেও, অন্যগুলো শান্ত
নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুমের তমব্রু এলাকার ৩৪, ৩৫ এই দুই সীমান্ত পিলার ছাড়া অন্য সবকটি পিলার দিয়ে শুক্রবার সারাদিন মিয়ানমারের ভিতর থেকে গোলা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়নি।
কিন্তু স্পর্শকাতর সীমান্ত পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত তমব্রুর ৩৪ এবং ৩৫ এর মাঝামাঝি দিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিস্ফোরণের আওয়াজ ভেসে এসেছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আমির হামজা বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির অন্য পিলার দিয়ে মাঝে মধ্যে গুলি বা আর্টিলারি মর্টারশেলের আওয়াজ বন্ধ থাকে বলে শুনেছি, কিন্তু চলতি এই সমস্যা শুরু হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই দুই পয়েন্টে বিস্ফোরণের আওয়াজ কোনদিন বন্ধ ছিল না। সে কারণে ভয় কাজ করছে আমাদের মনে।
সূত্রে জানা যায় শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে একটি, সন্ধ্যা ৫টা ১০ মিনিটের দিকে একটি, ৫টা ২৮মিনিটের দিকে একটি এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পান ঐএলাকার লোকজন, তবে অন্য দিনের চেয়ে শুক্রবারের শব্দের গতি কম ছিল বলে জানান ব্যবসায়ী সরোয়ার।
অন্যদিকে নাইক্ষ্যংড়ি সদরের জামছড়ি-আষারতলীতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত মিয়ানমারের ভিতর থেকে বিস্ফোরিত কোন আওয়াজ কানে আসেনি বলে জানিয়েছেন ও এলাকার স্থানীয় কৃষক মো. আয়াতুল্লাহ।
সীমান্তে বসবাসকারী প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সীমান্তের প্রতিটি বিওপি এলাকায় বিজিবি টহল দিচ্ছিল। তারা সতর্ক আছে। সীমান্তে লোকজনকে যেতে নিষেধ করছে বিজিবি।