parbattanews

নাফ নদী থেকে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রসহ ৩ জনকে ধরে নিয়ে গেছে বিজিপি

নাফ নদী থেকে হোয়াইক্যং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রসহ অপর দুই জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)।

১২ জুলাই সকালে হোয়াইক্যং পয়েন্টের নাফ নদী থেকে তাদের ধরে মিয়ানমারে নিয়ে যায় বিজিপি।
অপহৃতরা হলেন, হোয়াইক্যং উত্তরপাড়ার মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. জুনায়েদ (১০), মৃত জালাল আহমদের ছেলে সিরাজ উল্লাহ (২৬) ও মনিরঘোনা এলাকার আব্দু জলিলের ছেলে মোহাম্মদ রুবেল (২৪)।

পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, কেওড়া ফলের জন্য নৌকাযোগে নাফ নদীতে গমন করে ওই তিনজন। এ ফলের সন্ধ্যানে গিয়ে ভুল বশতঃ বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করলে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর প্রায় ১০/১৫ জনের একটি দল বোটযোগে নাফ নদে এসে তুতার দ্বীপ থেকে তাঁদের ধরে নিয়ে মিয়ানমারের ওপারে চলে যায়।

এ দিকে চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া মো. জুনায়েদ অপহরণের খবর বাড়িতে পৌঁছলেই তার মা মমতাজ বেগম পাগল প্রায়। কেঁদে মুর্ছা যাচ্ছেন। মমতাজ বেগম বলেন, ‘কোনো দিন নাফ নদীতে পা রাখেনি ছেলে আমার’ কেওড়া গুলার জন্য নাফ নদীতে গেলে মিয়ানমার পুলিশ তাদের অপহরণ করে।

ছেলের পিতা গিয়াস উদ্দিন জানান, যারা ওপারে মাছ শিকার করে তাদের মাধ্যমে অপহরণের খবরটি পেয়ে বেশ কিছু সময় যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু কোনো সুরাহা করতে না পেরে দ্রুত ২ বিজিবি বরাবর (বাংলাদেশী নাগরিকদের ফেরত আনার প্রসঙ্গে) আবেদন করা হয়।

হোয়াইক্যং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইলিয়াছ জানান, মোহাম্মদ জোনায়েদ চতুর্থ শ্রেণি বি শাখার নিয়মিত ছাত্র। তার রোল নং ৪০। শিশুটিকে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

হোয়াইক্যং বিওপির কোম্পানী কমান্ডার আলী মোর্তেজা জানান, নাফ নদী থেকে তিনজন ব্যক্তি ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে। তাদের উত্তরের আপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান নাফ নদী থেকে শিশু সহ তিন জনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তারা বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করায় এ ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি তাদের ছাড়িয়ে আনতে ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

Exit mobile version