parbattanews

নার্সের ছেলের মাতলামী আর শাসনে জিম্মী আলীকদম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারি!

alikadam-hospital-news-22-10-2016

আলীকদম প্রতিনিধি:

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দিন দিন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে হাসপাতালে কর্মরত নার্স সোমা দে ও অফিস সহায়ক গৌতম কুমার দে’র ছেলে সুকান্ত কুমার দে (২২)। শনিবার সকাল নয়টায় হাসপাতালের পাচক ইয়াংরিং মুরং’কে এলোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর আহত করেছে সুকান্ত দে। আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মেডিকেল অফিসার মাহতাব উদ্দিন জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমি ছুটিতে আছি। তবে হাসপাতালের সমস্যার কথা শুনে চলে আসতেছি। এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে অভিযুক্ত সুকান্ত দে’কে শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, অভিযুক্ত সুকান্ত’র মা সোমা দে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নার্স। তিনি কিছুটা অসুস্থ। অসুস্থতার অজুহাতে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে প্রতিনিয়ত অবহেলা করেন। রোগীদের সময়মত ওষুধ দেন না। দায়িত্ব পালন না করে সর্বক্ষণ বাসায় থাকেন। কর্তৃপক্ষ সোমা দে’কে দায়িত্বে অবহেলার কথা বললে তার ছেলে সুকান্ত’কে দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্টাফদের শাসিয়ে যাচ্ছে।

এসব বিষয় স্বীকার করে মেডিকেল অফিসার মাহতাব উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সুকান্ত তার মায়ের প্রশ্রয়ে এসব করছে। সে প্রায় সময় মদ্যপান করে হাসপাতালে এসে মাতলামি করে। হাসপাতাল স্টাফদের গালাগাল করে। তার বাবা-মাকে সহ কয়েকবার পারিবারিকভাবে সতর্ক করা হলেও তাদের কোন পরিবর্তন হয়নি।

অনুসন্ধানে জানা যায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাকালীন সোমা দে’র ডিউটি চলছিল। কিন্তু তার ডিউটি চলাকালীন সময়ে সে রোগীদের ওষুধ না দিয়ে বাসায় চলে যায়। বিষয়টি রোগীরা ডা: মাহতাবকে জানান। ওইদিন সন্ত্রাসী কায়দায় সুকান্ত এসে হাসপাতালের পাচক ইয়াংরিং মুরুং-কে ছুরি নিয়ে ধাওয়া করে। সেদিন কিছু করতে না পারলেও ঘটনার জের ধরে শনিবার সকালে হাসপাতল গেইটে পেয়ে পাচক ইয়াংরিংকে এলোপাথাড়ি মারধর করে।

হাসপাতালে বেডে শুয়ে কান্নারত অবস্থায় ইয়াংরিং মুরুং জানান, সে (সুকান্ত) অতর্কিত আমাকে আক্রমণ করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে আমাকে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

জানতে চাইলে আলীকদম থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা শনিবার রাতে বলেন, অভিযুক্ত সুকান্তকে পুলিশ আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে মারাধর ও মাদক আইনে একটি মামলা রুজু হয়েছে। আইনগতভাবে পরবর্তি ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Exit mobile version