হার দিয়ে শুরু, হারেই শেষ বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন

fec-image

প্রথম তিন ম্যাচ হেরে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো। শেষ ম্যাচটি ছিল স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার। তবে, বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সদস্যদের প্রত্যয় ছিল, শেষ ম্যাচটা অন্তত জেতার। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সম্মানজনকভাবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়ে আসা। কিন্তু মুখের কথা কাজে পরিণত হয়নি। মাঠে শক্তির ছিটেফোটাও দেখাতে পারেনি বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। উল্টো দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে নাস্তানাবুধ হয়েছে। ১০ উইকেটের ব্যবধানে গো-হারা হেরেছে তারা। বাংলাদেশের করা ৬ উইকেটে ১১৩ রান মাত্র ১৭.৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই টপকে গেছে প্রোটিয়া নারীরা।

তবে, ১৩ বল হাতে রেখে বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে বিশাল লাভ হয়েছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার। পূর্ণ ২ পয়েন্টের পাশাপাশি রানরেটটাও বাড়িয়ে নিতে পেরেছে তারা। যার ফলে, নিউজিল্যান্ড ছিটকে দিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা।

কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মুর্শিদা খাতুনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৬ বল খেলে কোনো রানই করতে পারেননি তিনি। আরেক ওপেনার শামীমা সুলতানা আউট হন ১১ রান করে।

শবনম মুস্তারি এবং নিগার সুলতানা মিডল অর্ডারে যা একটু হাল ধরেছিলেন। তবে তা দলের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৩০ বলে ২৭ রান করেন শবনম মুস্তারি এবং ৩৪ বলে ৩০ রান করেন নিগার সুলতানা।

স্বর্ণা আক্তার ১১, ফারজানা হক ৭ রান করে আউট হন। নাহিদা আক্তার ১১ বলে ১৫ রানে এবং লতা মন্ডল ৪ বলে ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১১৩ রান।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মারিজানে ক্যাপ এবং আয়াবোঙ্গা খাকা ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন ননকুলুলেকো এমলাবা এবং শাবনিক ইসমাইল।

জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়ি ঘুরিয়েছেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার লরা উলভার্ডট এবং তাজমিন ব্রিটস। দু’জন মিলে গড়ে তোলেন ১১৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ৫৬ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন উলভার্ডট। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে তার ছক্কা ছিল ১টি। তাজমিন ব্রিটস ৫১ বলে অপরাজিত থাকেন ৫০ রান করে। বাউন্ডারি মেরেছেন ৪টি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ, বিশ্বকাপ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন