parbattanews

নিজেদের সুরক্ষায় খাগড়াছড়িতে ২টি গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছায় লকডাউনে

করোনাভাইবাস বিস্তার রোধ ও সামাজিত দুরত্ব নিশ্চিত করতে খাগড়াছড়িতে দুটি গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছায় লকডাউন হয়েছে। বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে এবং নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে জেলা শহরের কয়েকটি গ্রামে বাঁশ ফেলে ও রশি দিয়ে সীমারেখা টেনে দেওয়া হয়েছে।

সচেতনতামূলক এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে পয়েন্টে পয়েন্টে বসেছে পাহারা। পালাক্রমে গ্রামের যুবকরা দায়িত্ব পালন করছে এ কাজে। এলাকার বাইরের কেউ প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

শনিবার(২৮ মার্চ) থেকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের খবংপুড়িয়া ও ৩নং ওয়ার্ডের শব্দমিয়া পাড়া লকডাউনের আওতায় রয়েছে। স্থানীয় যুবকরা বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে এবং নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে এ কার্যক্রম ইতোমধ্যে প্রশংসা খুড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয়দের কাছে।

কাশেম স’মিল এলাকা দিয়ে খবংপুড়িয়া গ্রামের প্রবেশমুখ এলাকায় গিয়ে দেখা মিলবে, গ্রামের প্রবেশমুখে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ীভাবে তৈরী করা হয়েছে ব্যারিকেড। ব্যারিকেডের বাঁশের উপর বিজ্ঞপ্তিতে লেখা “বৃহত্তর খবংপুড়িয়া সচেতন যুব সমাজের উদ্যোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ”। তবে প্রশাসন, গণমাধ্যম ও মেডিকেল টিম এর আওতামুক্ত থাকবে।

সচেতনতামূলক এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে পয়েন্টে পয়েন্টে বসেছে পাহারা। পালাক্রমে গ্রামের যুবকরা দায়িত্ব পালন করছে এ কাজে। এলাকার বাইরের কেউ প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আর এলাকার যারা প্রয়োজনীয় কাজে বাজার কিংবা অন্যত্র থেকে ফিরছেন তাদের প্রবেশ করানো পর বাড়ি গিয়ে জীবাণুমুক্ত হয়ে নিতে বলা হচ্ছে। আর আগামীতে প্রবেশমুখ গুলোতে জীবাণুনাশক ছিটানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান কয়েকজন।

স্বর্ণিভর এলাকার বাসিন্দা অমিও চাকমা জানান, নিজেদের সুরক্ষায় কয়েকদিন যদি বের না হয়ে থাকতে হয় তাহলে সেটি মেনে চলতে কোন ক্ষতি নেই। আমাদের এলাকার যুব সমাজ যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের জন্য ইতিবাচক হবে।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম বলেন, খাগড়াছড়ি পৌরসভার দুইটি গ্রামের হাজারেরও বেশী পরিবার নিজেদের সুরক্ষায় এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করেছে। এটি একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। পৌরসভার পক্ষ থেকে এলাকায় এলাকায় জীবাণুনাশক ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে নানা কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনা সৃষ্টি করতে সেনাবাহিনী, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের সমন্বয়ে বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টি নিশ্চিত করা, রাস্তাঘাট, বাজারে জীবাণুনাশক পানি ছিটানো, লিফলেট বিতরণ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুরত্ব বৃত্ত এঁকে দেওয়া ও মাইকিং করে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের না হতে ও মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছে।

Exit mobile version