parbattanews

নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

গত দুইদিন ধরে অব্যাহত দমকা হাওয়া ও ভারি বর্ষণের ফলে কক্সবাজার সদরের পোকখালী ইউনিয়নের ঈদগাঁও ছড়া-খাল-পোকখালীর পশ্চিম অংশ ভেঙ্গে গোমাতলী ও মধ্যম পোকখালী এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে প্রধান সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা। ইউনিয়নের প্রায় এক চতুর্থাংশ এলাকা এখন পানিবন্দি। ক্ষতির সম্মুখীন ঘরবাড়ী, ফসল, চিংড়ি ঘের।

পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ প্লাবিত ও ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। দ্রুত পানি নেমে না গেলে ও ছড়ার ভাঙ্গা অংশ দ্রুত মেরামত না করলে জোয়ারের পানিতে আবারো প্লাবিত হাওয়ার আশংকা রয়েছে বলে তিনি জানান।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দিবা-রাত্রি থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত আর ঝড়ো হাওয়া বাতাসের মধ্যে দিয়ে জোয়ারের পানিতে ফের প্লাবিত হয়েছে কক্সবাজার সদরের পোকখালী ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ গোমাতলী।

রোববার (১০ জুন) রাতে ও সোমবার (১১ জুন) প্রবল জোয়ারের পানিতে উত্তর-পূর্ব-পশ্চিম গোমাতলীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক বসত-বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। অথৈ পানিতে তলিয়ে গেছে চিংড়ি ঘের, ফসলের ক্ষেত, বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চলাচলের রাস্তা।

পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নুরুল কাদের জানান, দুইদিনের প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে এলাকার রাস্তা-ঘাট ও ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আগেই থেকে বেড়িবাঁধের ৬নং স্লুইচ গেইট পয়েন্টের বিশাল অংশ ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। এতে চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে ওই এলাকার বহু বসতবাড়ি ও স্থাপনা। যে কোন মুহূর্তে এই বাঁধের অবশিষ্টাংশ তলিয়ে গেলে বৃহত্তর গোমাতলী মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিষদের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করা হবে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত ২ দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে মৌসুমি নিম্নচাপের প্রভাবে শনিবার থেকে শুরু হওয়া থেমে থেমে বর্ষণে তলিয়ে গেছে গ্রামের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, ব্যবসা ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। সাগরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে জোয়ারের পানি। এতে প্লাবিত হচ্ছে উপকূলের গোমাতলীর গ্রামের পর গ্রাম। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার ২০ হজার মানুষ। জোয়ারের পানিতে গ্রামীণ জনপদের মানুষের দুর্ভোগ ব্যাপক আকার ধারন করেছে। ভাঙন দিয়েই জোয়ারের পানি ঢুকে পুরো গোমাতলীর ৮ গ্রাম পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউনিয়নের গোমাতলীতে ১শ মিটার ভাঙ্গনরত বেড়ীবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় জোয়ার ভাটার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে গোমাতলীর শত শত পরিবার। যার কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চরম উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় রয়েছে।

এছাড়া জেলার টেকনাফ, চকরিয়া, পেকুয়া ও মহেশখালীতে অনেক এলাকা পানিবন্দি রয়েছে।

Exit mobile version