নিজস্ব প্রতিবেদক:
দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কটি যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থান খানাখন্দে ভরে গেছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও পিচ-ঢালাই উঠে গেছে। প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলছে হেলে-দুলে। যাত্রীরা শিকার হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগে। সব চেয়ে বিপাকে পড়ছে সাজেকমুখী পর্যটকরা।
সাজেক দেশের অন্যতম পর্যটক স্পর্ট হয়ে উঠায় খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত পর্যটকবাসীর গাড়ী সাজেক যাচ্ছে। এছাড়া রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার যানবাহনগুলোও সড়কটি দিয়ে চলাচল করছে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা-সাজেক সড়কটি নিরাপত্তাবাহিনীর ইসিবি’র তৈরী। এতদিন তারা নিয়মিত সংস্কারের দায়িত্বে ছিলেন। ২৭ জুলাই ২০১৬ খাগড়াছড়ি থেকে বাঘাইহাট পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার রাস্তা সড়ক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার বিকালে সরেজমিন দেখা গেছে, খাগড়াছড়ি থেকে বাঘাইহাট পর্যন্ত অধিকাংশ সড়কেই গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায় স্থানে খানাখন্দে ভরা। তবে কোথও কোথাও ইট ফেলে গর্ত ভরাটের ব্যর্থ চেষ্টা চলছে।
খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের ভৈরভা এলাকার বাসিন্দা জ্ঞান চাকমা জানান, রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা সময় মতো বিদ্যালয়ে পৌঁছতে পারছে না।
ট্রাক চালক আবুল হোসেন জানান, ভাঙা রাস্তায় গাড়ী চালাতে গিয়ে প্রায়ই গাড়ীর যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। বাস চালক মন্টু মিয়া জানান, রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি হয়ে বাঘাইছড়ি ও লংগদুগামী যাত্রীরা ভোর রাতে এসে প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ খাগড়াছড়ির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সড়কটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।