parbattanews

নিরাপত্তা চেয়ে জাতিসংঘে চিঠি পাঠাল শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা

বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেল ও সীমান্তের ওপারের গোলাগুলির শব্দে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রিত রোহিঙ্গারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গত শুক্রবার রাতে মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেলে বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিত একজন নিহত হন। এতে শোকে কাতর সাড়ে ৪ হাজার রোহিঙ্গা।

এ পরিস্থিতিতে জরুরি সভা ডাকে রোহিঙ্গা শিবির নেতা মাস্টার দিল মোহাম্মদ ও মৌ. আরিফ মোহাম্মদ। সভার সিদ্ধান্ত মতে তারা রাতেই একটি জরুরি চিঠি লেখেন জাতিসংঘের কাছে। এতে তারা বাংলাদেশের সীমান্তে মিয়ানমার বাহিনীর অব্যাহত মর্টার শেল ও গোলাবর্ষণের কারণে নিজেরা নিরাপত্তাহীনতায় আছে উল্লেখ করেন।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কমিটির সর্দার (হেড মাঝি) দিল মোহাম্মদ ও মৌলানা আরিফ।

চিঠিটি মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘের সদর দফতরে পৌঁছেছেন উল্লেখ করেন তারা।

মাস্টার দিল মোহাম্মদ বলেন, চিঠিতে জাতিসংঘকে তারা জানিয়েছেন, সামরিক জান্তা বাহিনী যেকোনো মুহূর্তে এ আশ্রয় শিবিরে ওপর আরও বড় আক্রমণ করতে পারে। তাই জরুরিভাবে যেন ব্যবস্থা নেয়া হয় তার দৃশ্যমান হস্তক্ষেপ চায় তারা।

এদিকে সীমান্তের প্রধান ঘটনাস্থল তুমব্রু বাজারের দক্ষিণ পাশেই মিয়ানমারের সীমান্ত চৌকি। এটির নাম তমব্রু রাইট ক্যাম্প। এ ক্যাম্প থেকে যখন মর্টার শেল ছোড়া হয় তখনই বাংলাদেশের বৃহত্তর তুমব্রু ৬ পাড়ার মানুষের ঘুম ভাঙ্গে, আতঙ্কিত ও তটস্থ হয় । গ্রাম গুলো হলো, তুমব্রু পশ্চিম পাড়া, হিন্দু পাড়া, কোনার পাড়া, বাজার এলাকা, মধ্যম পাড়া ও উত্তর পাড়া। এ সব পাড়ার জন সংখ্যাপ্রায় ৮ হাজার।

অপর দিকে তুমব্রু পয়েন্টর উত্তরদিকে ৬ গ্রামের মানুষের ঘুম ভাগে ৩৫ পিলার থেকে ৩৭ পিলার এলাকার বিপরীত থেকে মিয়ানমার বাহিনীর গোলাগুলির আওয়াজে। বাহিনীটি সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪২টি মর্টারশেল নিক্ষেপ করে সীমান্তে। যাতে করে সীমান্তের এ এলাকার ১২ গ্রামের ৫শ পরিবার চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন।

বিজিবির একটি সূত্র দাবি করেন বিজিবি তাদের টহল জোরদার করেছে। তারা সতর্ক আছে।

Exit mobile version