parbattanews

নির্বাচনে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হবে: রাঙামাটিতে নির্বাচন কমিশনার

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, অতীতের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সারা দেশে সেনা মোতায়েন করা হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাকেই তার দায়ভার নিতে হবে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে এবং রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান আরও বলেন, ‘অতীতের সকল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন ছিল। এবারও সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা আছে এবং আমরা তা করবো। পার্বত্য এলাকায় বিশেষ এলাকা হিসেবে সেনা মোতায়েন রয়েছে। এখানে নতুন করে কিছু করা লাগবে না। কিন্তু সমগ্র দেশে অতীতের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো সেনা মোতায়েন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশি কোনও চাপ নেই। আমাদের কাছে এই পর্যন্ত ৫০টির বেশি বিদেশি নির্বাচনি পর্যবেক্ষক হিসেবে আবেদন জমা পড়েছে। আমরা চাই আরও পর্যবেক্ষক আসুক।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে সময় বাড়ানোর সুযোগ আছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে শেষ করার জন্য যা যা করণীয় সেই নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দায়ী থাকবেন।’

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য, পক্ষপাতমূলক আচরণ করা যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যা যা করণীয় সার্বিক বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ ব্যত্যয় করে তার দায়-দায়িত্ব তাকে নিতে হবে। কমিশন সেই ক্ষেত্রে কাউকে সামান্যতম ছাড় দেবে না। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের বার্তা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে যে ৪৪ দল নিবন্ধিত, নির্বাচনে অংশ নেওয়া তাদের নিজস্ব বিষয়। আমরা তাদের আলোচনর জন্য ডেকেছি। এর মধ্যে ২৬ দল আসছে। যারা আসবে না তাদের নির্বাচনে আনার উপায় আমার কাছে নেই। কোনও অভিযোগ থাকলে সেই বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, অবৈধ অস্ত্র ও বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার যেন না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন–চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ রাঙামাটি সেক্টর কমান্ডার মো. আনোয়ার লতিফ খান, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. সহিদুজ্জামান, রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, খাগড়াছড়ির মুক্তা ধর, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী, রাঙামাটি সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন, সকল উপজেলার নির্বাহী অফিসার, নির্বাচন অফিসারসহ আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Exit mobile version