এমএন লারমার মৃত্যুবার্ষিকীতে নিষেধাজ্ঞা-শর্তারোপ বাক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পরিপন্থী : সুধাসিন্ধু খীসা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :
মানবেন্দ্র নারায়ণ (এমএন) লারমার ৩২ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে পুলিশি বাঁধা, নিষেধাজ্ঞাসহ শর্তারোপ বাক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন জনসংহতি সমিতি (এম.এন লারমা) গ্রুপের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুধাসিন্ধু খীসা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসি জেএসএস)’র প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা’র ৩২ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালনে বাঁধা দেয়ার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে জেএসএস (এমএন লারমা)’র নেতারা। মঙ্গলবার সকালে জেলা শহরের টং রেস্টুরেন্টের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদিক সম্মেলন করে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও জেএসএস’র প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শোক র্যালি, চেঙ্গী স্কোয়ার এলাকায় লারমার স্মৃতি ভাস্কর্য্যে পুষ্পমাল্য অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির অনুমতি চাওয়া হলে পুলিশ নির্ধারিত স্থান পরিবর্তন, শোক র্যালি ও রাজনৈতিক বক্তব্যে নিষেধাজ্ঞাসহ ১৫ টি শর্ত আরোপ করে। যা বাক স্বাধীনতাকে সরাসরি বাঁধা প্রদান করে এবং গণতন্ত্রের পরিপন্থী।’
বক্তারা, একজন সাবেক সংসদ সদস্যের মৃত্যুবার্ষিকী পালনে স্থানীয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জনসংহতি সমিতি (এম.এন লারমা) গ্রুপের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুধাসিন্ধু খীসা, কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক চাইথোঅং মারমা, প্রফুল্ল্য কুমার চাকমা ও প্রীতিময় চাকমা অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে চেঙ্গী স্কোয়ারে স্থাপিত মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র স্থায়ী স্মৃতি ভাস্কর্যে পুলিশি বাঁধার মুখে বিক্ষিপ্তভাবে সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার গভীর জঙ্গলের এক গোপন আস্তানায় জনসংহতি সমিতির বিভেদপন্থী অংশের হাতে আট সহযোদ্ধাসহ নিহত হন জুম্ম জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা মানবেন্দ্র নারায়ণ (এমএন) লারমা।