parbattanews

নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার রামুর যুবক হাসানের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত

ramu pic janaja 04.10.14
রামু প্রতিনিধি:
নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার রামুর যুবক মো. হাসানের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল দশটায় রামু কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত নামাজে জানাযায় শোকার্ত মানুষের ঢল নামে।

জানাযাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রামু-কক্সবাজার আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, মো. হাসানকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা সভ্য সমাজে মেনে নেয়া যায় না। এ হত্যাকান্ডের কোন তথ্য থাকলে তাকে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, হত্যাকান্ডে জড়িতদের ব্যাপারে সঠিত তথ্যদাতাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। প্রয়োজনে নির্ভয়ে সাক্ষ্য দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, আগে রাস্তা ঠিক করার কথা বলতাম। এখন রাস্তায় মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হাসানের হাসানের বড় ভাই মো. ইসমাইল বলেন, তার ভাই সৎ ও শান্ত চরিত্রের ছিলেন। কোনদিন কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি। এমনকি তার (হাসান) বিরুদ্ধে কোথাও কোন অভিযোগও ছিলো না। এরপরও কেন তাকে এভাবে কেটে কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো। তিনি এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের  দাবী জানান।
নামাজে জানাযায় ইমামতি করেন, রামু কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের খতিব মৌলানা শামসুল হক। জানাযা শেষে মো. হাসানের শরীরের উদ্ধার হওয়া কয়েকটি অংশ মন্ডলপাড়া মাইমুম আলী সাহেবের কবরস্থানে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য রামুর মন্ডলপাড়া গ্রামের জাকের আহমদের ছেলে মোঃ হাসান (২৭) গত ২৩ সেপ্টেম্বর বোনের আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে বন্ধক দেবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। নিখোঁজ হওয়ায় ৫দিন পর থেকে বাঁকখালী নদী থেকে তিনদিন ধরে উদ্ধার করা হয় হাসানের দেহের খন্ডিত অংশ। উদ্ধারকৃত মাথা, ২টি হাত ও একটি পা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ডিএনএ পরীক্ষার শেষে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

এছাড়া এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় হাসানের বড় ভাই ইসমাইল বাদি হয়ে রামু থানায় একটি মামলা রুজু করেছেন। রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইকুল আহম্মেদ ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর এ মামলার মূল কার্যক্রম চলবে।
মোঃ হাসানের নৃশংস হত্যাকান্ড নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় চলছে।

নিখোঁজের পাঁচদিন পর বাঁকখালী নদী থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা, হাত ও পা পাওয়ায় এ ধরনের নৃশংস হত্যাযজ্ঞে হতবিহবল হয়ে পড়েছেন, হাসানের স্বজন ও রামুর সর্বস্তরের মানুষ। হাসানের স্বজনদের ধারনা হয়তো পরিচিত বা সংঘবদ্ধ অপরাধিরা অপহরণ করে হাসানের সর্বস্ব লুট করতে গিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে হত্যাকান্ড ধামাচাপা দিতে মৃতদেহ টুকরো-টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে।

Exit mobile version