কক্সবাজারে ইসলামী মহাসম্মেলনের সমাপনী

‘নেক আমলই একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম’

fec-image

# নিজেদের আমলের কারণে আল্লাহর অভিশাপ দূর হচ্ছে না। #পরের হক মেরে জান্নাতে যাওয়া যাবে না। #পাপ বর্জন ও নেক আমল ছাড়া পরকালে মুক্তি মিলবে না।

কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলনের সমাপনী দিনে বক্তারা বলেছেন, ‘আমরা অধিকার সচেতন ও নিজের পরিচয় নিজে না জানার কারণে পৃথিবীতে আল্লাহর অভিশাপ দূর হচ্ছে না। কেয়ামতের ভয়-ভীতি আমাদের প্রত্যেকের অন্তরে আসতে হবে। সেই দিনের ভয়ানক দৃশ্য আমরা ধারণ করতে পারলে ও ভালো আমল করলে মুক্তির পথ সুগম হবে। পাপ বর্জন ও নেক আমল ছাড়া কারো মুক্তি মিলবে না। নেকির পাল্লা ভারী হলে জান্নাতের দরজা খুলে যাবে ‘

রবিবার (২০ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলনের সমাপনী দিনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

আলোচকবৃন্দ বলেন, ‘দুইটি আমল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমটি হচ্ছে, নেক আমল। যে কোনো আমল একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হতে হবে। লোক দেখানো কোন কাজ ইসলাম সমর্থন করে না।দ্বিতীয়টি হলো, পরের হক বা অধিকার। পরের হক মেরে জান্নাতে যাওয়া যাবে না। তাই হক যথাযথ পরিশোধ করতে হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ দুইটি আমল করতে পারলে আল্লাহকে রাজি করা যাবে।’

‘পাপ-পুণ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব আল্লাহর কাছে দিতে হবে। এই মানসিকতা লালন করলে কোন মানুষ পাপাচারে লিপ্ত হতে পারেনা। জীবন চলার প্রত্যেক ক্ষেত্রে আল্লাহকে স্মরণ রাখতে হবে।’

আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া টেকনাফের মুহতামিম মাওলানা মুফতি কেফায়েত উল্লাহ শফিকের সভাপতিত্বে বাদে এশা সমাপনী অধিবেশনে আলোচনা করেন, ভারতের জামিয়া কাসেমিয়া শাহী মোরাদাবাদের মুহতামিম আল্লামা সৈয়দ আশহাদ রশীদী, ঢাকার বিশিষ্ট ইসলামিক ব্যক্তিত্ব আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, সিরাজগঞ্জের বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন আল্লামা আব্দুল বাসেত খাঁন।

সম্মেলনের সমাপনী দিনে বিভিন্ন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, ফাঁসিয়াখালী আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মান্নান, রামু জোয়ারিয়ানালা এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবু বক্কর, ঈদগাঁও বোয়ালখালী ইসলামিয়া কাশেমুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নুরুল হাকিম, চিরিঙ্গা ইসলামিয়া এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আনোয়ারুল আলম।

ক্বারী আতাউল্লাহ গনির সঞ্চালনায় ইসলামী সম্মেলন সংস্থা কক্সবাজার জেলার এই সম্মেলনে চট্টগ্রাম হাটহাজারী জামিয়া আহলিয়া মঈনুল ইসলামের মুহতামিম আল্লামা মু: ইয়াহইয়া, ঢাকার আল্লামা খোরশেদ আলম কাশেমী, মাওলানা মোস্তফা নুরী, রামু রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ ক্বারী ওসমান, চাকমারকুল জামিয়া ইসলামিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা হারুন জদীদ, জোয়ারিয়া নালা এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার মাওলানা এজাজুল করিম, ক্বারী রিদওয়ানসহ ইসলামী চিন্তাবিদগণ আলোচনা করেন।

সম্মেলনের প্রথম দিন শনিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা বসুন্ধরা ইসলামিক রিচার্স সেন্টারের মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি আরশাদ রহমানী, পটিয়া জামেয়া ইসলামিয়ার মুহাতামিম আল্লামা ওবাইদুল্লাহ হামজা, রাজঘাটা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাও: সৈয়দ আলম আরমানী, আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ হ্নীলার মুহতামিম মাও: আবছার উদ্দীন কাছেমী, মাও: সিরাজুল হক, মাও: জহিরুল হক, মাও: এমদাদুল্লাহ আলোচনা করেন।

আল্লামা সৈয়দ আশহাদ রশীদী’র উর্দু বক্তব্যর বঙ্গানুবাদ করেন ঢাকা বসুন্ধরা ইসলামিক রিচার্স সেন্টারের মুহাদ্দীস মাও: এনামুল হক।

দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনকে সফল করায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সংস্থার সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ মুসলিম ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ মোহছেন শরীফ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন