নৌকায় করে পালানোর সময় মিয়ানমারে ১৭৩ রোহিঙ্গা আটক

fec-image

রাখাইনের নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নৌকায় করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১৭৩ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে মিয়ানমার। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সামরিক মুখপাত্র তুন তুন নি জানান, কথুং শহর থেকে তাদের আটক করে নৌবাহিনী। আটককৃতদের মধ্যে ২২ জন শিশুও ছিলো।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। এরপরও বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে পালানোর চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।

সামরিক মুখপাত্র জানান, আমাদের নৌবাহিনীর সদস্যরা সাগরে একটি সন্দেহভাজন নৌকা দেখতে পায়। পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

এখনও মিয়ানমারে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন। তারা একটি আটক শিবিরে রয়েছেন এবং তাদের চলাচলের স্বাধীনতা নেই।

অনেকদিন ধরেই নৌকায় করে রাখাইন থেকে পালানোর চেষ্টা করে রোহিঙ্গারা। সাধারণত নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত যখন সমুদ্র শান্ত থাকে। তখনই এই চেষ্টা করে থাকে রোহিঙ্গারা। তাদের মূল্য লক্ষ থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়া। ২০১৫ সালে ২৫ হাজারের মতো রোহিঙ্গা আন্দামান দ্বীপ পাড়ি দেয়। অনেকেই পানিতে ডুবে প্রাণ হারান। তবে এখনও এই পথ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তারা।

কথুংয়ের প্রশাসনিক দফতরের সহকারী পরিচালক মিয়াত থু বলেন, আটককৃত রোহিঙ্গারা মিয়ানমার নাকি বাংলাদেশ কোথা থেকে যাত্রা করেছিলো তা নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, আমরা এখন তাদের দ্বীপে রাখছি। সেখানে নিরাপত্তা প্রহরীরা আছে। আমরা খেয়াল রাখছি যেন কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘন না হয়।

বাংলাদেশের কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম রয়টার্সকে বলেন, তারা এমন কোনও নৌকার ব্যাপারে জানেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য থাকলে আমরা তাদের আটকে দিতাম।’

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার, রাখাইন, রোহিঙ্গা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন