পজেটিভ শনাক্তের ১০ দিন পর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরলেন ঘুমধুমের আবু ছিদ্দিক

fec-image

করোনা শনাক্তের ১০ দিন পর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরলেন ঘুমধুমের বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিক।

রবিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিট থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে নিজ বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন উজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তার সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ওই করোনা পজেটিভ শনাক্ত বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিক ঢাকা থেকে তবলীগ ফেরত হয়েছিল গত ৬ এপ্রিল । উপজেলা প্রশাসন খবর পাওয়ার সাথে সাথে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেন তাকে।

১৫ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ করে তার। সেই নমুনার রিপোর্টে পজেটিভ আসে ১৬ এপ্রিল। ওই দিন তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে মোবাইলের মাধ্যমে চিকিৎসা দিলেও একদিন পর উর্ধ্বতনের নির্দেশে রোগীকে রাখা হয় সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে।

দায়িত্বরত চিকিৎসকদের ন্যাশনাল গাইড লাইনের প্রটোকল অনুযায়ী চিকিৎসা পেয়ে এবং আইসোলেশন থেকে রবিবার (২৬ এপ্রিল) সে মুটামুটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। এর আগে আইসোলেশনে এক সপ্তাহ ধরে অবস্থান করার পর গত ২৩ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয় তার দ্বিতীয় বারের নমুনা।

ওই নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে ২৪ এপ্রিল। নিয়ম মোতাবেক ওই রোগীসহ হাসপাতালের সংস্পর্শ চিকিৎসক ও আইসোলেশন ওয়ার্ড বয়ের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় ২৫ এপ্রিল।

তবে করোনা শনাক্ত রোগী নমুনা টেস্ট ছিলো তৃতীয় দফার রিপোর্ট বলে জানান স্বাস্থ্য বিভাগ ।

আর এদিকে, রবিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে তৃতীয় বারের রিপোর্টটিও করোনা নেগেটিভ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. আবু জাফর মো, ছলিম বলেন, করোনা পজেটিভ পাওয়া রোগী আবু ছিদ্দিকের দুই দফা টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট আসায় তাঁকে আমরা মোটামটি সুস্থ বলতে পারছি। তাকে আমরা ঘরে ফিরিয়ে যাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করছি।

ন্যাশনাল গাইড লাইনের নিয়ম অনুযায়ী তিনি ঘরে গিয়ে আবারও ৭দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পর ওই সাত দিনের মাথায় চতুর্থ বারের নমুনা সংগ্রহ করে ওই রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে তাকে চুড়ান্তভাবে দাবী করা যাবে পুরোদমে সুস্থ। তখন সে সমাজে চলাফেরা করতে আর কোন বাঁধা থাকবে না।

চতুর্থ রিপোর্ট না আসার আগে সুস্থতার বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে ন্যাশনাল গাইড লাইনের অনুযায়ী চিকিৎসা পেয়েছেন এবং আইসোলেশন থেকে আজ সে মুটামুটি সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাস থেকে মোটামটি মুক্ত হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলার হাসপাতালের আবু ছিদ্দিক জানান, আমি করোনার রোগী ছিলাম। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা আমাকে সঠিক চিকিৎসা দিয়েছেন এবং অধিকতর সেবা করেছেন বলেই আমি আজ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।

চিকিৎসকের পরার্মশ অনুযায়ী করো সংস্পর্শ না হয়ে সাতদিন যাবত থাকার ওয়াদা করছি। আর আইসোলশনে থাকা অবস্থায় চিকিৎসকরা খুব সেবা দিয়েছেন, তাদের আমি মঙ্গল কামনা করি।

উল্লেখ্য,ঢাকা তবলীগ ফেরত আবু ছিদ্দিক (৫৯) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার কোলালপাড়াস্থ কোনাপাড়া বাসিন্দা। আবু ছিদ্দিকের নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ১৫ এপ্রিল।

১৬ এপ্রিল বান্দরবান জেলায় এই প্রথম নমুনার রিপোর্ট আসে পজেটিভ। একদিন পর নিয়ে আসা হয় সদর নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের আসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তার এলাকার ৩৬ পরিবারকে দেয়া হয় লকডাউন। তার স্ত্রীসহ সংস্পর্শ ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাতে সবাইর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস, ঘুমধুম, স্বাস্থ্য বিভাগ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন