parbattanews

পঞ্চম দফায় দুই দিনে ভাসানচর গেল আরও ৪০২১ রোহিঙ্গা

নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় পঞ্চম দফায় উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে স্বেচ্ছায় ৯৮২ পরিবারের ৪০২১ রোহিঙ্গা ভাসানচরের পথে রওনা হয়েছে।

বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে ২০টি বাসে ১১০০ জন পরে বিকেলে আরও ১৪টি বাসে ৬৬২ জনসহ মোট ১৭৬২ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু নিয়ে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে চট্টগ্রামের বিএন শাহীন কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্পের পথে রওনা হয়। এ সময় তাদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪টি গাড়ি, ৪টি এ্যম্বুলেন্স, ৮টি প্রটেকশন গাড়ি, ৪টি খালি বাস এবং ২৩টি কার্গোভ্যান যেতে দেখা যায়।

এর আগে, মঙ্গলবার (২ মার্চ) পঞ্চম দফার প্রথম দিনে দুই ভাগে ৪০ বাসে দুই হাজার ২৫৯ জন রোহিঙ্গা সেদিন রাতে চট্টগ্রামের বিএম শাহীন কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্পে পৌঁছায়। তাদের নিয়ে বুধবার (৩ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজ ভাসানচরের পথে রওনা হয়ে নির্ধারিত সময়ে সেখানে পৌঁছায় বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এর আগে, সোমবার ও মঙ্গলবার উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন শেষে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়। সেখান থেকে দুই দিনে ৪ ভাগে ৭৪টি বাস তাদের নিয়ে ভাসানচরের পথে রওনা হয়।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা জানান, কয়েক ধাপে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা ভাসানচরে গিয়েছে। তবে এই দফায় ৪ হাজারের মতো রোহিঙ্গা ভাসানচর যেতে রাজি হয়েছে। যারা যেতে ইচ্ছুক তাদের ধাপে ধাপে ভাসানচর নেওয়া হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নেওয়া হবে ভাসানচরে।

উল্লেখ্য, এই প্রক্রিয়ার শুরুতে গত ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর ৩ হাজার ৪৪৬ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এরপর ২৯ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের প্রথম অংশে ১ হাজার ৭৭৮ জন এবং ৩০ জানুয়ারি দ্বিতীয় অংশে ১ হাজার ৪৬৩ জনকে ভাসানচরে নেওয়া হয় এবং চতুর্থ দফায় দুই দলে ৩ হাজার ২০ জন পৌঁছান সেখানে। বর্তমানে ৯ হাজার ৭০৭ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে বসবাস শুরু করেছেন।

Exit mobile version