parbattanews

পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষায় পাহাড়ে বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার

পৃথিবীর উপরিভাগের পাতলা কঠিন আবরণকে বলা হয় ভূত্বক। পৃথিবীর যেকোনো অংশ অপেক্ষা ভূত্বক আমাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে ভূমিরূপ বলতে তাৎক্ষণিকভাবে ভূপৃষ্ঠের অবস্থাকে বোঝায়। পৃথিবী পৃষ্ঠের গঠন সর্বত্র সমান নয়। ভূপৃষ্ঠের ক্রম পরিবর্তন বা রূপান্তর বিভিন্ন ধরনের উপায়ে সংঘটিত হচ্ছে। ভূত্বক সৃষ্টির প্রথম পর্যায়ে মহাদেশ ও মহাসাগরগুলো সৃষ্টি হয়েছিল বলে এদের প্রথম পর্যায়ের ভূমিরূপ বলা হয়। মহাদেশীয় ভূভাগ ও মহাসাগরীয় তলদেশে প্রথম পর্যায়ের পর পরই যে প্রধান ভূমিরূপ গঠন হয়েছে সেগুলোকে দ্বিতীয় পর্যায়ের ভূমিরূপ বলা হয়। পৃথিবীর দ্বিতীয় পর্যায়ের ভূমিরূপগুলোকে উচ্চতার পার্থক্যের ভিত্তিতে প্রধান তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যেমন ১. পর্বত, ২. মালভূমি ও ৩. সমভূমি। পার্শ্ববর্তী এলাকার তুলনায় আংশিক খাড়া ঢাল এবং কমপক্ষে ৩১০ মিটার (প্রায় এক হাজার ফুট) উচ্চতাবিশিষ্ট ভূমিকে পর্বত এবং এর চেয়ে কম উচ্চতাসম্পন্ন উচ্চভূমিকে বলা হয় পাহাড়। পৃথিবী পৃষ্ঠের প্রায় ৩২ মিলিয়ন বর্গকিমি বা ২২ শতাংশ এলাকাজুড়ে পর্বতগুলোর বিস্তরণ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রকৃতির অপরিহার্য উপাদান হলো এসব পাহাড়, পর্বত ইত্যাদি।

জীবজগতের গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ ও প্রাণীর অন্যতম অভয়ারণ্য হলো পর্বত, তাছাড়া পৃথিবীর মিঠাপানির ৬০-৮০ শতাংশ সরবরাহ করে পর্বত। পৃথিবীর পার্বত্য অঞ্চলে মোট বনভূমির পরিমাণ ৯০ লাখ বর্গকিমি, যা সমগ্র পৃথিবীর নিবিড় বনাঞ্চলের ২৮ ভাগ এবং পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ১২ শতাংশ বসবাস করে পার্বত্য অঞ্চলে। প্রায় ৭২ কোটি পার্বত্য জনসংখ্যার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও আনুষঙ্গিক পণ্যসামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি পরোক্ষভাবে পাদদেশীয় অবশিষ্ট এলাকার সুপেয় পানি, জ্বালানি শক্তি ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রীর প্রধান উৎস হলো এ পর্বত। গতিশীল পৃথিবীর টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে পৃথিবীব্যাপী বিস্তৃত পর্বতগুলো। পার্বত্য এলাকার বিশালসংখ্যক মানুষের টেকসই উন্নয়ন, জীবনমান নিশ্চিত করার করার লক্ষ্যে ২০০৩ সালে জাতিসংঘ ১১ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস ঘোষণা করে। সে থেকে প্রতি বছর দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়ে থাকে। ২০২৩ সালের আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘‌Restoring Mountain Ecosystems’ (পুনরুদ্ধার হোক পাহাড়ে বাস্তুতন্ত্র)। কোনো একটি অঞ্চলের জীব এবং তাদের পরিবেশের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ার একটি শৃঙ্খল হলো ইকোসিষ্টেম বা বাস্তুতন্ত্র। জলবায়ু, ভূমিরূপ ও জলাশয় এ তিনের সংমিশ্রণে তৈরি হয় ইকোসিস্টেম।

অন্যদিকে জনঘনত্ব, প্রতিবেশ রক্ষায় অবহেলা, জলবায়ু পরিবর্তন এ তিন কারণে ইকোসিস্টেম নষ্ট হয়। মূলত মানুষের জীবিকা নির্বাহ, খাদ্য উৎপাদন ও সম্পদ আহরণের জন্য ভূমির ওপর চাপ পড়ছে বলে প্রতিবেশ বা ইকোসিষ্টেম ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কারণ এগুলোর ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা জড়িত থাকে। এজন্যই সমগ্র পৃথিবীর পার্বত্য অঞ্চলের ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধার করা জরুরি। বিশ্বব্যাপী ৩১০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ মিটারের অধিক উচ্চতাবিশিষ্ট পর্বতগুলোকে ছয়টি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। ভূ-প্রকৃতির তারতম্য, গঠন পার্থক্য, পৃথিবীর পরিধি, সীমা এবং স্থানভেদে বিশ্বব্যাপী পর্বতগুলোর গঠন প্রকৃতি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন ভঙ্গিল পর্বত (হিমালয়, আল্পস, রকি), স্তূপ পর্বত (কলোরাডোর রকি, জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট), ক্ষয়জাত পর্বত (আরাবল্লী, উত্তর আমেরিকার হেনরি), সঞ্চয় পর্বত (ফুজিয়ামো, ভিসুভিয়াস), গম্বুজ পর্বত (ব্ল্যাক হিলস, ইংল্যান্ডের ওয়েল্ড)। এসব পর্বত পৃথিবীকে করেছে ভারসাম্যপূর্ণ, বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশকে করেছে বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং সৌন্দর্যমণ্ডিত। অন্যদিকে এসব পর্বত বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগের হুমকির সম্মুখীন। প্লেট টেকটোনিক সঞ্চালনের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী অধিবাসীরা ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাতজনিত দুর্যোগে আক্রান্ত। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষতিকর প্রভাব ও ক্রমাগত বেড়ে চলেছে পার্বত্য এলাকাগুলোয়।

বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল অনেক সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়। বাংলাদেশের মোট ভূমির প্রায় এক-দশমাংশ হলো পাহাড়ি এলাকায়। বিশেষ করে পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলের রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান নিয়ে এ পার্বত্য অঞ্চল (১৩ হাজার ২৯৫ বর্গকিমি)। বিভিন্ন উচ্চতার পাহাড়, ঝরনা, নদ-নদী, বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী এ অঞ্চলকে করেছে বৈচিত্র্যপূর্ণ। সরকারিভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হলো বান্দরবান পার্বত্য জেলার রুমা উপজেলার সাইচল পর্বতসারিতে অবস্থিত তাজিংডং। তাজিংডংয়ের উচ্চতা ১ হাজার ২৮০ মিটার বলা হলেও এর প্রকৃত উচ্চতা ৭৯০ মিটারের বেশি নয়। কিন্তু বেসরকারি হিসেবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ বান্দরবানের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত সাকা হাফং বা মাদক তং। ইংরেজ পর্বতারোহী জিনজে ফোলেন ২০০৬ সালে জিপিএস দিয়ে এর উচ্চতা নির্ণয় করেন ১ হাজার ৬৪ মিটার, যা রাশিয়া পরিচালিত এসআরটিএম উপাত্ত অনুযায়ী ১ হাজার ৫২।

প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটি তা নির্ধারণের জন্য গত নভেম্বর থেকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বান্দরবান ও রুমা উপজেলার পাহাড়গুলো পরিমাপ শুরু করে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর। এর ফলে নির্ধারণ করা সম্ভব হবে বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এবং এর প্রকৃত উচ্চতা যা পার্বত্য অঞ্চলের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়ক হবে। সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ি এলাকায় পরিবেশ ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় জীববৈচিত্র্য হ্রাস, ভূমির ব্যবহারে পরিবর্তন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন, তাপমাত্রা পরিবর্তন এবং ভূমিধসজাতীয় দুর্যোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেকোনো অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রাকৃতিক বনের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং আন্যান্য পেশার আধিক্যের কারণে বন উজাড় হচ্ছে দ্রুত গতিতে। বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলায় বর্তমান জনশুমারি (২০২২) অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ১৮ লাখ ৪২ হাজার ৮১৫, যা ২০১১ সালের জনশুমারিতে ছিল ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৯৮৯। বাংলাদেশে বর্তমান জনশুমারি অনুযায়ী পার্বত্য অঞ্চলে গত এক দশকে বাঙালি জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে দেশের মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ১৬ শতাংশ মানুষ বসবাস করে।

সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এবং ওয়াটার এইডের এক গবেষণায় বলা হয়, গত এক যুগে বাংলাদেশের তিন পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের বনভূমি কমেছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৬ হেক্টর। অন্যদিকে লক্ষ করা যায়, বৃহৎ আকারের বন উজাড় পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ধসের অন্যতম কারণ। পাহাড়ি অঞ্চলের বনভূমির বৃক্ষগুলো মাটির গভীর পর্যন্ত মূল প্রেরণের মাধ্যমে মাটির দৃঢ়তা বৃদ্ধি ও মাটির ক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পার্বত্য এলাকার বনভূমি যেমন পাহাড়গুলোকে সরাসরি বৃষ্টির পানির আঘাত থেকে রক্ষা করে তেমনি বৃষ্টির পানিকে বৃহৎ আকারে মাটির ভেতরে প্রবেশে বাধা দেয়। কিন্তু কয়েক দশক ধরে নির্বিচারে পার্বত্য অঞ্চলের বন ও গাছপালা ধ্বংসের ফলে বৃষ্টির পানি সহজে পাহাড়ি বেলে-দোঁআশ মাটিতে প্রবেশ করে পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে নিমজ্জিত করছে।

পূর্ববর্তী এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯০-২০১০ পর্যন্ত সময়ে পাহাড়ি পাঁচটি জেলায় প্রায় ১ হাজার ১২৮ বর্গকিমি পাহাড়ি বন ধ্বংস করা হয়েছে। পরিবেশের নানা যে অবক্ষয় বা বিপর্যয় হয়েছে তার গুরুত্ব অনুধাবন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে একনেকে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ অনুমোদন করেছেন, যেখানে দেশের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ হটস্পট নিয়ে সমগ্র পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। এ ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ হটস্পট হলো: হাওর, উপকূল, পার্বত্য, শহর, বরেন্দ্র ও খরা, নদীজ এলাকা। এই ডেল্টা প্ল্যানে দুর্যোগের প্রশমন ও পরিবেশের অবক্ষয় বা ক্ষতি কমিয়ে পরবর্তী উন্নয়ন পরিকল্পনা কেমন হবে তার রূপরেখা রয়েছে এবং অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে। মূলত প্রতিবেশকে সংরক্ষণ করে ক্ষতিগুলোকে সহনশীল পর্যায়ে রাখার জন্যই ডেল্টা প্ল্যান করা হয়। পরিবেশ প্রতিবেশকে সংরক্ষণ করে জাতীয় উন্নয়ন কীভাবে নিশ্চিত করা যায় তারই রূপরেখা হলো ডেল্টা প্ল্যান এবং সে লক্ষ্যেই ২০৩০ সাল পর্যন্ত ৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে। এ প্ল্যান বাস্তবায়ন হলে পার্বত্য অঞ্চলের ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারসহ সমগ্র বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশের অবক্ষয় সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত একটি বিষয়। বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, বন্যা, দুর্যোগ, বন উজাড়, নদী ভাঙনের মাধ্যমে পৃথিবীব্যাপী কোনো না কোনো অঞ্চল পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবেলায় ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যাপক হারে বনায়ন, ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি, ভূমির ক্ষয়রোধের মাধ্যমে ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারের গতি ক্রমান্বয়ে বাড়ানো সম্ভব। আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে বিদ্যমান উদ্ভিদ ও প্রাণিবৈচিত্র্য পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

জাতিসংঘ ২০২১ থেকে ২০৩০ দশককে ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধার বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সে আলোকে এবারের আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের প্রতিপাদ্যকে বাস্তবায়ন করতে হলে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমন্বয় ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এছাড়া বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে; যেমন টেকসই কৃষি ও বনাঞ্চলের পরিমাণ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ; সবার সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী নীতি, আইন ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় জ্ঞানকে প্রাধান্য দেয়া, পার্বত্য অঞ্চলে যথাযথ ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা ও প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা; পার্বত্য এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলায় নেচারবেজড (প্রকৃতিনির্ভর) কৌশলকে প্রাধান্য দেয়া; পার্বত্য এলাকার পানির প্রবাহ ধরে রাখা ও ওয়াটারশেড রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্ব দেয়া; যথাযথ ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা করে পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটনকে ব্যাপক আকারে প্রচার করা; প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ভূমি ক্ষয়রোধ পর্যবেক্ষণ ও বনভূমির সঠিক পর্যবেক্ষণে উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি করা এবং পর্বত বা পাহাড়ি এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলায় ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা, প্রস্তুতি এবং পুনর্বাসনের টেকসই পরিকল্পনা প্রণয়নে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।

লেখক: অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Exit mobile version