parbattanews

পরিবেশ বিপর্যয় রোধে গাছের বিকল্প নেই: জেপি দেওয়ান

বর্তমানে দেশে যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে জনসংখ্যার অধিক চাপে পড়ে বেশির ভাগই ফসলি জমি উজাড় করে তৈরি করা হচ্ছে ঘরবাড়ি। প্রতিনিয়ত কাটা হচ্ছে গাছপালা। যার কারণে আজ পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির মুখে। এই পৃথিবীর বুকে প্রত্যেকটি প্রাণীই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বৃক্ষ ও উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল। তাই সকলেই অতিকতর গাছ লাগাই প্রাণীকুল ও পরিবেশকে রক্ষা করি। সত্যিই গাছ কিন্তু মানুষের নি:স্বার্থ উপকারী বন্ধু।

মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি জাতীয় ঐতিহ্য, অর্থনীতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব রোধ, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষাসহ নৈসর্গিক শোভাবর্ধনে বৃক্ষের অসীম গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিনিয়ত নির্বিচারে যে ভাবে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে, তাতে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে গাছের বিকল্প নেই।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের যৌথ আয়োজনে “গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি” এই শ্লোগানে খুটাখালী জাতীয় উদ্যান এরিয়া এলাকায় বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে ইউএনও জেপি দেওয়ান উপরোক্ত এসব কথা বলেন।

উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নস্থ মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান এরিয়া এলাকায় প্রায় আড়াইশত নারী-পুরুষের মাঝে বিভিন্ন ফলজ-বনজ ও ঔষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
উক্ত গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শীতল পাল, ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা হুমায়ূন আহমদ, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহরাজ উদ্দিন, ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোজাহের আহমদ, মেধাকচ্ছপিয়া সিএমসি কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন প্রমূখ।

ইউএনও জেপি দেওয়ান বক্তব্যে আরো বলেন, প্রত্যেকের বাড়ির আশপাশে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা খোলা জায়গায় এ মৌসুমে প্রতি বছর যার যার সাধ্যমতো গাছ লাগানো উচিত। তবেই আমাদের জীবন ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ ভালো থাকবে। গাছপালা ও ফসলি জমি দিন দিন বিলীন হতে থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

পৃথিবীতে আমাদের বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে। সারা বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই এখনই সময় গাছ লাগানোর। এজন্য দেশের প্রতিটি নাগরিককে সচেতন করতে হবে। শিক্ষিত সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান।

Exit mobile version