parbattanews

পর্বত মেলায় বাঙালিদের স্টল বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে ছাত্র পরিষদের প্রতিবাদ

333

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ পর্বত মেলায় অংশ গ্রহনের জন্য পার্বত্য চট্রগ্রাম মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেইসিং এমপি এর সাথে স্বাক্ষাত করে একটি স্টল দেয়ার দাবী করলে তিনি প্রথমে অপরাগতা প্রকাশ করলেও পরে বাঙালি নেতৃবৃন্দের জোরালো দাবীর প্রেক্ষিতে একটি স্টল বরাদ্ধ দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের স্টলে দর্শকের উপচে পরা ভীড় ছিল।

বুধবার কোন নোটিশ ছাড়া্ই পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের স্টলের বই, ব্যানার ও সংগঠনের ৮ দফা দাবীর লিফলেটসহ সবকিছূ নিয়ে যায়। এবং স্টলটি বন্ধ করে দেয়। এরই প্রতিবাদে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ বৃহস্পতিবার পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদপ্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।

পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা ও নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান্ এবং পাহাড়ে আন্দোলনরত পাচঁ সংগঠনের আহ্বায়ক ইঞ্জি আলকাছ আল মামুন  ভূইয়া। পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি ফরাজি শাহাদাত হোসেন শাকিবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের মহাসচিব এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হামিদ রানা, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক, সারোয়ার জাহান খান, ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি এডভোকেট সারোয়ার হোসাইন, ফেনী স্টুডেন্ট ফোরাম সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফারুক, পার্ব্ত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, রহমত উল্লাহ আল মামুন প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস পালিত হয়ে আসছে। এ মেলা আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো পাহাড়-সমতলের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি ও তাদের মধ্যে পারস্পারিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করা। যার ফলে পাহাড় এবং সমতলের মানুষের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ে উঠবে বলে আশা করা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালের উদ্যোগে চার বছর তিন পার্বত্যজেলা(রাঙ্গামাটি,খাগড়াছড়ি,বান্দারবন)এ বসবাসরত জন গোষ্ঠীর সিংহভাগ মানুষ বাঙালিদের কে বাদ দিয়ে শুধু মাত্র ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়কে নিয়েই পার্বত্য মেলা উযযাপন করে আসছে। যা দিন দিন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবর্তে সাম্প্রদায়িক দুরত্ব ও বিরোধ সৃষ্টি করছে।

বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালে তিন পার্বত্য জেলার বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী ব্যতিত শুধুমাত্র ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায় নিয়ে পর্বত মেলা আয়োজন করায় পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের ক্ষোভের তোপের মুখে পড়েছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। তখন তিনি দুঃখ প্রকাশ করে আশ্বাস দিয়ে বলে ছিলেন, ভবিষ্যতে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে পর্বত মেলা আয়োজন করা হবে’।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সাধারণ বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর সাথে সচিব তার সাম্প্রদায়িক আচরনের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন। এ অবস্থায় সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সাম্প্রদায়িক আচরণের ফলে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সকল জাতিসত্ত্বার মধ্যে পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সম্পর্কের মারাত্মকভাবে অবনতি ঘটিয়েছে’ তাই তার এ আচরনের ফলে (সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার)অপসারণের দাবীতে শীঘ্রই পার্বত্য এলাকার সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে পার্বত্য জেলায় তীব্র থেকে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে’ বলেও জানান তিনি।

Exit mobile version