“১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে এনজিও সংস্থা ও সরকারি সকল সুবিধার আওতায় এসেছে।”

পর্যাপ্ত টয়লেট থাকা সত্বেও খোলা জায়গায় মলমূত্রত্যাগ করছে রোহিঙ্গারা

fec-image

কক্সবাজার টেকনাফে আশ্রিত প্রায় ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে এনজিও সংস্থা ও সরকারি সকল সুবিধার আওতায় এসেছে। তাদের জন্য অন্যান্য সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি ব্যবস্থা করা হয়েছে পয়ঃনিস্কাশন ও নিরাপদ স্যানিটেশন।

রোহিঙ্গাদের ৩২টি জোনে বিভক্ত করে প্রতিটি ব্লক অনুসারে বসানো হয়েছে পর্যাপ্ত নলকূপ ও স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট এবং টয়লেটগুলোতে দেয়া হয়েছে পানির সাপ্লাই। প্রায় অর্ধশতাধিক এনজিও সংস্থার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সম্মত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন অভ্যাস গড়ে তুলতে দেয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ, বিতরণ করা হয়েছে সচেতনমূলক লিফলেট।

এতকিছুর পরও রোহিঙ্গারা টয়লেট ব্যবহারে অভ্যস্ত নই। বেশীর ভাগ রোহিঙ্গা মলমূত্র ত্যাগ করছে খোলা জায়গায় তাদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত অধিকাংশ এনজিও কর্মীর অভিযোগ রোহিঙ্গারা খোলা জায়গা মলমূত্র ত্যাগ করার ফলে ক্যাম্পে ঢোকা মুশকিল হয়ে পড়েছে চারিদিকে দূর্গন্ধ ও অপরিচ্ছন্ন পরবেশ।  ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগব্যাধি।

এ ব্যাপারে পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, উখিয়া-টেকনাফ এখন দুর্গন্ধময় শহরে পরিণত হয়েছে আমাদের প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের ফলে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। আগামী কয়েক বছরে রোহিঙ্গাদের এ ধরনের বদভ্যাস মহামারী আকার ধারণ করবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন