parbattanews

পাঁচ বছরেও অনিল তঞ্চঙ্গ্যা অপহরণ রহস্য উদঘাটন হয়নি, নিহত ধরে আ’লীগের শোক সভা

Rangamati Pic-12-01-17-

রাঙামাটি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাঙামাটি জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি অনিল চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যার নিখোঁজের ৫ বছর পর তাঁর শোকসভা পালন করেছে রাঙামাটি জেল আওয়ামী লীগ। গত চার বছর অনিল চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যাকে নিখোঁজ দাবি করে তাকে উদ্ধারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করা হলেও এবছর তাকে নিহত হিসেবে ধরে নিল তার দল।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, এরমধ্যে দিয়ে বন্ধ হয়ে যাবে অনিল চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যাকে উদ্ধারের তৎপরতাও।রাঙামাটির কাউখালী থানায় দায়ের করা অনিল চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যার অপহরণ ঘটনার মামলার কুল কিনারা কী হবে তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ঘটনার ৫ বছর পর অনিল চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যার অপহরণ ঘটনার কোনো রহস্য উৎঘাটন না করে দলীয়ভাবে শোকসভা পালনে বিভিন্ন মহলে সমালোচনারও গুঞ্জন উঠেছে। এ নিয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনিল চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা করে জেলা, পৌর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ।

২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি কাপ্তাই থেকে রাঙামাটি আসার পথে কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের বগাপাড়া ব্রিজ এলাকা থেকে অনিল চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যাকে অহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনার জন্য পাহাড়ীদের আঞ্চলিক একটি দলকে দায়ী করে জেলা আওয়ামী লীগ ও তার পরিবার। গত ৫ বছরে অনিল তঞ্চঙ্গ্যাকে উদ্ধারের দাবিতে জেলা আওয়ামী লীগ ও তার পরিবার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

এছাড়াও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আওয়ামী লীগের র্শীষ নেতারা অনিল তঞ্চঙ্গ্যাকে উদ্ধার ও অপহরণ ঘটনার রহস্য উৎঘাটনের ঘোষণা দেন। কিন্তু ৫ বছর পর জেলা আওয়ামী লীগ সে অবস্থান থেকে সরে এসে অনিল তঞ্চঙ্গ্যার শোক সভা পালন করে। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা অনিল কুমার তঞ্চঙ্গ্যা এখন শুধুই ইতিহাস। তার ভক্ত নেতাকর্মীদের মনে প্রশ্ন অনিল অপহরণ ঘটনার মামলার কী পরিণতি হবে। আদৌ উম্মোচিত হবে কি অনিল অপহরণ ঘটনার রহস্য?

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. মুছা মাতাব্বর বলেন, গত বছর অনিল তঞ্চঙ্গ্যার পরিবারে পক্ষ থেকে তাকে নিহত হিসেবে ধরে নিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করায় আমরাও এবছর দলীয়ভাবে শোকসভা পালন করছি।

জেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, পাঁচ বছর অপেক্ষার পর তার পরিবার ও আমারা ধারণা করছি, সন্ত্রাসীরা তাকে মেরে ফেলেছে। তার অপহরণ রহস্য উদঘাটনে প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, অনিলকে উদ্ধারের দাবিতে দলীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে এবং থানায় মামলাও দায়ের করা হয়।

বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত শোকসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, সহ-সভাপতি নিখীল কুমার চাকমা, সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর ও জেলা পরিষদের সদস্য অনিল তঞ্চঙ্গ্যার স্ত্রী সান্তনা চাকমাসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

Exit mobile version