parbattanews

পাকিস্তানকে ১০৯ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

১০৮ রানে আটকে গেল বাংলাদেশ। আগের দিনের মতো শেষের ১০ ওভারে ঝড়ো ব্যাটিং উপহার দিতে পারল না বাংলাদেশ। প্রথম ১০ ওভারে রান ৬৪, সেই দল পরের ১০ ওভারে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে করতে পারল মোটে আর মোটে ৪৪ রান। মিরপুরের বিবেচনায় যথেষ্ট ভালো ব্যাটিং উইকেটেও ২০ ওভারে রান ৭ উইকেটে ১০৮।

প্রথম দুই ওভারে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেন চেষ্টা করেন দলকে এগিয়ে নিতে। তবে তারা দুজন পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। আর কেউ পারেননি এই দুজনের মতো খেলতেও।

প্রথম ম্যাচে বিশ্রাম পাওয়ার পর একাদশে ফিরে পাকিস্তানের সেরা বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে তার শিকার ২ উইকেট।

আজ (শনিবার) দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যা দলের জন্য আত্মঘাতী হিসেবেই প্রমাণিত হয়েছে।

মজার বিষয় হলো, দুই ম্যাচেই পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম জানিয়েছেন, তিনি টস জিতলে নিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। সেটি কেনো? পরপর দ্বিতীয় ম্যাচে তা প্রমাণ করে দিয়েছে পাকিস্তানের বোলাররা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করতে পেরেছে মাত্র ১০৮ রান।

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মাহমুদউল্লাহ বলেছিলেন, এই উইকেটের চরিত্র বোঝা কঠিন। তবে আগে ব্যাট করে সুবিধাজনক সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে সেটি ডিফেন্ড করার পরিকল্পনা তার দলের। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি সেই পরিকল্পনা।

তিন নম্বরে নামা বাঁহাতি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তর ৪০ রান ব্যতীত আর কেউই তেমন কিছু করতে পারেননি। আরও একবার হতাশ করেছেন দুই ওপেনার। উইকেটে থিতু হয়েও অল্পে সাজঘরে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহানরা। ফলে পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০৯ রানের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: *২০ ওভারে ১০৮/৭ (নাঈম ২, সাইফ ০, শান্ত ৪০, আফিফ ২০, মাহমুদউল্লাহ ১২, সোহান ১১, মেহেদি ৩, আমিনুল ৮, তাসকিন ২* ; আফ্রিদি ৪-০-১৫-২, ওয়াসিম ৩-০-৯-১, মালিক ২-০-১৬-০, রউফ ৩-০-১৩-১, শাদাব ৪-০-২২-২, নওয়াজ ৪-০-২৫-১)।

Exit mobile version