পাকিস্তানকে ১৮২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিলো ভারত

fec-image

এশিয়া কাপের আগে তার ফর্ম নিয়ে অনেক কথা হচ্ছিল। বিরাট কোহলির দলে জায়গা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। সেই কোহলি দেখিয়ে দিলেন, বড় মঞ্চে পারফর্ম করতেই যেন পছন্দ করেন তিনি।

এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তুলে নিলেন ফিফটি। গ্রুপপর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪ বলে ৩৫ করে সমালোচিত হয়েছিলেন। হংকংয়ের বিপক্ষেই ফেরেন স্বরূপে, করেন ৪৪ বলে অপরাজিত ৫৯।

ফের পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়ে ৪৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেললেন কোহলি। তার এই ইনিংসে ভর করেই ৭ উইকেটে ১৮১ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে ভারত। অর্থাৎ জিততে হলে পাকিস্তানকে করতে হবে ১৮২।

তবে ভারতের সংগ্রহটা আরও বড় হতে পারতো। ১০.৪ ওভারেই ১০০ রান তুলে নিয়েছিল রোহিত শর্মার দল। শেষ ৫৬ বলে তারা তুলতে পারে ৮১ রান। এর মধ্যে হারিস রউফের করা শেষ ওভারে ফাখর জামান দুটি বাউন্ডারি বানিয়ে দেন মিসফিল্ডিংয়ে।

মর্যাদার এই লড়াইয়ে টস জিতেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান তিনি।

তবে টস হারলেও ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনাই করে রোহিত শর্মার দল। রোহিত লোকেশ রাহুলকে নিয়ে ওপেনিংয়ে নেমে ৩১ বলে তুলে দেন ৫১ রান।

ষষ্ঠ ওভারে এসে অবশেষে ভারতীয় অধিনায়ককে আউট করেন হারিস রউফ। পাকিস্তানি পেসারের বলে টপএজ হয়ে খুশদিল শাহের ক্যাচ হন রোহিত। ১৬ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় মারকুটে ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান।

পরের ওভারে ভারতের আরেক সেট ব্যাটারকে তুলে নেন শাদাব খান। পাকিস্তানি স্পিনারকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে লংঅনে ক্যাচ হন লোকেশ রাহুল (২০ বলে ২৮)। ৮ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে ভারত।

তারপরও উইকেটে এসে মারমুখী হওয়ার চেষ্টা করেন সূর্যকুমার যাদব। তবে অতি আগ্রাসী ব্যাটিংই যেন কাল হয় তার। ১০ বলে ১৩ রান করা এই ব্যাটার আউট হন মোহাম্মদ নওয়াজকে স্কয়ার লেগে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে। বিরাট কোহলির সঙ্গে তার জুটিটি ছিল ২১ বলে ২৯ রানের।

এরপর রিশাভ পান্তকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রানের আরেকটি জুটি গড়েন কোহলি। ১৪তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন শাদাব। পাকিস্তানি লেগস্পিনারকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে আসিফ আলির সহজ ক্যাচ হন পান্ত (১২ বলে ১৪)।

হার্দিক পান্ডিয়াও সুবিধা করতে পারেননি। মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে শর্ট মিডউইকেটে নওয়াজের ডাইভিং ক্যাচ হন ভারতীয় এই অলরাউন্ডার (০)। ৪ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত।

তবে একটা প্রান্ত ধরে দারুণ খেলে দলকে এগিয়ে নেন কোহলি। মোহাম্মদ হাসনাইনকে ছক্কা মেরে ৩৬ বলে পূর্ণ করেন হাফসেঞ্চুরি। শেষ ওভারে এসে দুই নিতে গিয়ে রানআউট হন কোহলি। ৪৪ বলে গড়া তার ৬০ রানের ইনিংসে ছিল ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কার মার।

পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শাদাব খান। ৩১ রানে এই লেগির শিকার ২ উইকেট।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট, পাকিস্তান, ভারত
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন