parbattanews

পাকিস্তানে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১২

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ১২ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে খনিতে আটকা পড়া আরও ৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বেলুচিস্তানের হারনাই জেলার জারদালো এলাকার একটি খনিতে বিস্ফোরণে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে বুধবার স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এর আগে, বুধবার রাতে শক্তিশালী বিস্ফোরণে খনির একাংশ ডুবে যাওয়ায় অন্তত ১৮ জন শ্রমিক আটকা পড়ে বলে জানানো হয়। পাকিস্তানের খনি অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক বলেছেন, খনিতে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।

তবে বুধবার সকালের দিকে বেলুচিস্তানের খনি পরিদর্শক আব্দুল গনি বেলুচ বলেছেন, ‘‘উদ্ধার অভিযান মাত্রই শেষ হয়েছে।’’ তিনি বলেন, মিথেন গ্যাস বিস্ফোরণের সময় খনিতে ২০ জন শ্রমিক ছিলেন। তিনি বলেন, উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। জীবিতদের উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেছেন, ‘‘রাতে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকি ১০ জনের মরদেহ ভোরে উদ্ধার করা হয়েছে।’’ প্রদেশের খনি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ শাহওয়ানিও খনিতে বিস্ফোরণে নিহতদের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।

কোয়েটা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পূর্বের ওই খনিতে মাত্র ১০ জন শ্রমিক ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল। সরকারের খনি বিভাগ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার উদ্ধারকর্মীরা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য রাতভর তৎপরতা চালিয়েছেন।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ খনি দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় ‘‘গভীর শোক ও দুঃখ’’ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। রেডিও পাকিস্তান বলছে, আহত খনি শ্রমিকদের সম্ভাব্য সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।

এক বছর আগে হারনাই জেলায় একটি কয়লা খনিতে গ্যাস বিস্ফোরণে অন্তত ছয় খনি শ্রমিক নিহত হন। এর আগে, ২০১৮ সালের মে মাসে একই অঞ্চলে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি কয়লা খনিতে গ্যাস বিস্ফোরণে অন্তত ২৩ জন নিহত ও ১১ জন আহত হন। তার আগে ২০১১ সালে বেলুচিস্তানের আরেকটি কয়লা খনিতে গ্যাস বিস্ফোরণে ৪৩ শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটে।

সূত্র: ডন, এএফপি।

Exit mobile version