পার্বত্য নিউজ ডেস্ক:
ফাইনাল খেলার আশা নিয়েই মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। কিন্তু এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে হতাশাজনক হারের পর অনেকটাই ফ্যাঁকাসে যায় ফাইনাল খেলার স্বপ্ন। তবে এরপর টানা ৩ ম্যাচ জিতে ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল রোমানা-সালমারা।
আগের দুই ম্যাচে দুই শক্তিশালী দল পাকিস্তান এবং ভারতকে হারানোর পর অনেকটাই নিশ্চিত ছিল পরের দুই ম্যাচেও জিতবে বাংলাদেশ। এর ব্যত্যয়ও ঘটেনি থাইল্যান্ডের বিপক্ষে। থাই নারীদের হেসে খেলেই ৯ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে সালমারা। শেষ ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে জয় পেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের ফাইনালের টিকিট।
বৃহস্পতিবার (৭ জুন) কুয়ালালামপুরের কিনরারা একাডেমি ওভাল মাঠে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। আগে বোলিং করতে নেমে শুরু থেকেই থাইল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে রোমানা বাহিনী। ফলে মাত্র ৩৯ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে থাইল্যান্ড।
সেখান থেকে অধিনায়ক সোনারিন টিপচের অপরাজিত ১৩ এবং লেজের সারির সিরিন্ত্রা সেংসাকারোতের ১৪ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ৬০ রানেই থামে থাইল্যান্ডের ইনিংস। নাত্য বোচাথামের ব্যাট থেকে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ১৫ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে কিপটে বোলিং করেন সবাই। নাহিদা আক্তার ৪ ওভারে ২ মেইডেনের সাহায্যে মাত্র ১০ রান খরচায় নেন ২ উইকেট। অধিনায়ক সালমা খাতুন ৪ ওভারে ২ উইকেট নিতে খরচ করেন মাত্র ৬ রান। ৪ ওভারে ১ মেইডেনে ৯ রান খরচায় ১ উইকেট নেন ফাহিমা খাতুন।
রান তাড়া করতে নেমে শামীমা সুলতানা ৮ রান করে ফিরে গেলেও অপরাজিত ৫৮ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আয়েশা রহমান এবং নিগার সুলতানা। উভয়েই অপরাজিত থাকেন সমান ২৮ বল মোকাবেলা করে ২৫ রানের ইনিংস খেলে।
কিপটে বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১৯টি ডট বল করে ২ উইকেট নিয়ে এবং অনন্য নেতৃত্বগুণে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন অধিনায়ক সালমা খাতুন।
এদিকে, ৪ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে বাংলাদেশ। আগামী ৯ জুন স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশের নারীরা।
