parbattanews

পাকুয়াখালীর ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ২১ বছরেও বিচার হয়নি

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটির লংগদু পাকুয়াখালীর ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ২১ বছরেও বিচার হয়নি। বর্বর এ হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত নিহতদের পরিবার।

এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য সরকারকে দায়ী করে নেতাকর্মীরা বলেন, ১৯৯৬ সালে ৯ সেপ্টেম্বর লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার মধ্যবর্তী স্থান পাকুয়াখালীতে খুনী সন্তু লারমার নির্দেশে নিরীহ বাঙ্গালী ৩৫ কাঠুরিয়াকে ডেকে নিয়ে যেভাবে নির্মম হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছে তা ১৯৭১ সালের গণহত্যার চেয়ে কোন অংশ কম না।

শুক্রবার সকালে রাঙ্গামাটি শহরের কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত পাকুয়ালী ট্র্যাজেডি স্বরণে শোকসভায় বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা এসব কথা বলেন।

এসময় পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের জেলা আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম এর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাবিব এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, নাগরিক পরিষদের সভানেত্রী বেগম নুর জাহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হাসান তারেক, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মান্নান, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মামুন, সদস্য সচিব ফয়েজ আহমেদ মোরশেদসহ সর্বস্তরের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শোক সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি হওয়ার পরও সন্তু লারমার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়নি। বরং হত্যা, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজি দিন দিন বেড়েই চলছে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের স্বীকার অসহায় পরিবারগুলো আজও খুনির বিচার ও কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ পায়নি। শুধু পাকুয়াখালী নয় পার্বত্য চট্টগ্রামে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়েছে ৩০ হাজার নিরীহ পার্বত্যবাসী।

বক্তারা আরো বলেন, পাহাড়ের মানুষগুলো দীর্ঘ বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও সরকারের পক্ষ থেকে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচারের ব্যাপারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার শুরু করতে সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে সভা থেকে।

Exit mobile version