পানছড়িতে বহুমূলী মুলা
স্বাভাবিকভাবে মূলার মূল থাকে একটি। কিন্তু খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার মূলার মাঠে দেখা মিলেছে বহুমুলী মূলার। যা কর্মরত শ্রমিকদের কাজের ফাঁকে দিয়েছে হাসির খোরাক। এ নিয়ে কেউ কেউ মেতেছিল মুখরোচক গল্পে।
পানছড়ির কানুনগোপাড়ার বিশালাকার শস্য ভাণ্ডারে বর্তমান সময়ে কৃষকেরা ব্যস্ত মুলা তোলার কাজে। মুলা তোলা শেষে কাঁধে ভর করে আনা হয় চেংগী নদীতে। নদীর স্বচ্ছ পানিতে পরিষ্কার করেই হয় বাজারজাত। কিন্তু এবারে স্বাভাবিক মুলার পাশাপাশি দেখা মিলেছে বেশ কিছু অস্বাভাবিক মুলার।
সরেজমিনে কানুনগোপাড়াস্থ চেংগী নদীতে নেমে দেখা যায়, সারি সারি মুলার স্তূপ। মুলা চাষি বিমলেন্দু চাকমা ও কামাল হোসেন জানান, অকেন বছর ধরে মুলা চাষ করলেও সবসময়ে দেখে এসেছি স্বাভাবিক মুলা। কিন্তু এবার শত শত অস্বাভাবিক মুলা দেখেছি, যা দিয়েছে ক্ষণিকের হাসির খোরাক।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পানছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম মজুমদার বলেন, মুলা চাষের জন্য জমি খুব ভালোভাবে গভীর করে চাষ করতে হয়। চাষের গভীরতা যদি কোনো জায়গায় কম থাকে তবে মুলার বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয় এবং পার্শ্বমূল বের হয়ে বিকৃত আকারের হয়ে থাকে ।