parbattanews

পানছড়িতে অজ্ঞাত রোগে দেড় শতাধিক ছাগলের মৃত্যু

পানছড়ি উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়

পানছড়িতে অজ্ঞাত রোগে গত কয়েকদিনে মারা গেছে শতাধিক ছাগল। হঠাৎ সর্দি লেগে নাক দিয়ে পানি পড়ে মুখ ফোলে লালা বের হয়ে পাতলা পায়খানা শুরুর দু’তিন দিনের মধ্যেই এসব ছাগল মারা গেছে বলে জানা যায়।

ছাগল মালিক বেলাল হোসেন, রৌশনারা ও সুনীল কান্তি দে জানায়, এ রোগ আগে ছিলনা। হঠাৎ আক্রান্ত হয়েই মারা যাচ্ছে। পানছড়ি প্রাণী সম্পদ চিকিৎসালয়ে নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি বলে কেউ কেউ জানায়।

রৌশনারা জানায়, অসুস্থ ছাগল নিয়ে প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে গেলে তাদের কাছে এ রোগের চিকিৎসা নাই বলে সাফ জানিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় চিকিৎসক বিশ্ব রবির কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিলেও সাতটি ছাগল মারা গেছে।

পানছড়ির উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ধন্টু কুমার চাকমা জানান, এটি একটি ভাইরাস নতুন রোগ। এর নাম পিডিপিআর (পেট ডেস পেটিডস রোমিনেন্ট)। এটার ফলে তাপমাত্রা নিচে নেমে ছাগল মারা যায়। এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ছাগল তারা চিকিৎসা দিয়েছে বলে জানায়।

তিনি বলেন ছাগলকে সুস্থ অবস্থায় ভ্যাকসিন দিতে হয়। একবার অসুস্থ হলে এর কোন চিকিৎসা নেই বলেও জানান। এ ব্যাপারে বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। ভুক্তভোগীদের দাবী প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে ঔষধ সংকটের পাশাপাশি জনবলও নেই।

উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ধন্টু কুমার চাকমা ও অরুণ কান্তি চাকমা দুজনেই সামাল দিচ্ছে পুরো উপজেলা। তাছাড়া সাবেক প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মিজানুর রহমান ২০১৯ সালে ১৫মে অত্র কার্যালয় থেকে বদলীজনিত কারণে একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দিলেও পানছড়ির কর্মস্থলে যোগদানের আগেই তিনি অন্যত্র যোগ দেন।

ফলে উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদটি খালি অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন। পানছড়ির সর্বস্তরের জনগনের দাবি অত্র অফিসে একজন কর্মকর্তা থাকলে হয়তো জনবল ও ঔষধের ব্যাপারে লেখালেখি করলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসতো।

Exit mobile version