parbattanews

পানছড়িতে এবার প্রাইভেট মাস্টারের প্রেমে ঘর ছাড়লো দুই সন্তানের জননী

1404970264.

পানছড়ি প্রতিনিধি :

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় প্রেম ভালোবাসার কাহিনী দিন দিন বেড়েই চলেছে। এরি মাঝে রসিক নানার প্রেমের ফাঁদে বার বছর বয়সী নাতনী, সাতষট্টি বছর বয়সে বারকু মিয়ার ইয়ে করে বিয়ে, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী নিয়ে পালালো চার সন্তানের জনক জিয়া নগরের লম্পট ফরিদ ইত্যাদির রেশ কাটতে না কাটতেই আলোচনায় স্থান পেয়েছে প্রাইভেট মাস্টার খোকন আর গৃহবধু জেসমিন বেগমের প্রেমের হাস্যকর কাহিনী।

সরেজমিনে জানা যায়, জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়নের সিংহপাড়া গ্রামের গেদু মিয়ার কণ্যা জেসমিন বেগম (২৮) এর সাথে পানছড়ি উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে আবুল কাশেম (৩৬) এর সাথে বিয়ে হয়। তাদের দশ বছরের সুখী সংসারে ঝুমুর (৮) ও শওকত (৬) নামে দুটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। ছেলে ও মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষে উপজেলার উল্টাছড়ি ইউপির উল্টাছড়ি গ্রামের হযরত আলীর ছেলে খোকন (১৯) কে বছর খানেক আগে নিয়োগ দেয় প্রাইভেট মাস্টার হিসাবে।

ছেলে-মেয়ের লেখা পড়ার পাশাপাশি তাদের মা জেসমিন বেগমও গোপনে প্রাইভেট মাস্টারের প্রেমের ক্লাশ করা শুরু করে। অবশেষে গতকাল শনিবার বিকাল তিনটার দিকে জেসমিন বেগম স্বামী ও কোমলমতি দুই শিশু সন্তানের মায়া ছেড়ে বিয়ের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় খোকনের বাড়িতে। তারা এলাকার নিকাহ রেজিস্টার কাজীর নিকট বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে গেলে কাজী মো: ইসমাইল এ বিয়ে পড়াতে অপারগতা জানায়।

এ ব্যাপারে কাজী মো: ইসমাইলের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, জেসমিন বেগমের অনেক ওজর আপত্তি সত্বেও আমি এই বিয়ে পড়াতে রাজী হইনি। তবে জেসমিন খোকনকে বিয়ে করবে এবং ভিক্ষা করে হলেও নতুন সংসারের হাল ধরবে বলে জানিয়ে নিজ পিত্রালয় তবলছড়ির উদ্দেশ্যে পানছড়ি ত্যাগ করে।

এ ব্যাপারে আবুল কাশেমের ছোট ভাই মো: হাছান জানান, দুটি শিশু সন্তানকে ফেলে এভাবে পর পুরুষের হাত ধরে ঘর ছাড়া মহিলা সমাজের কলংক। ছেলে-মেয়ে দুটো নিয়ে সাময়িক কষ্ট হলেও জেসমিন বেগমের মত অসভ্য মহিলাকে পূনরায় তাদের পরিবারে না তোলার সিদ্ধান্তেই সবাই অটল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা এ প্রতিবেদককে জানান, জেসমিন বেগম বার বার আকুতি করছে যে খোকনের সাথে যে কোন কিছুর বিনিময়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে না হয় সে মরণের পথ বেচে নিবে।

এদিকে পানছড়িতে বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহ ও নারী নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিগত কয়েক বছর যাবত মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কোন ধরনের সেমিনার বা উদ্বুদ্ধকরণ সভা না করার ফলে জনগনের মাঝে সচেতনতামূলক কোন বার্তা পৌঁছেনি। তাই এ ধরনের ঘটনার জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের দুর্বলতাকইে দায়ী করছেন অভিজ্ঞ মহল।

Exit mobile version